আসিফুজ্জামান পৃথিল : ৮ বছর পর জুমার নামাজে খোতবা প্রদান ও মোনাজাত পরিচালনা করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। বিবিসি, পারসটুডে
তিনি বলেছেন বিমান দূর্ঘটনার জন্য দায়ি ইরানের বিপ্লবী গার্ড যা করেছে তা দেশের স্বার্থরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ছিলো। দেশটিতে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বড় ধরণের বিক্ষোভ হচ্ছে।
নিজ ভাষণে আয়াতুল্লাহ খোমেনী দেশের একতা কামনা করেন। তিনি বলেছেন ইরানের শত্রুরা এই দুর্ঘটনাকে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলায়মানির হত্যাকে ঢাকতে ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার বিষয়ে আমরা দুখি ছিলাম, কিন্তু শত্রুরা অত্যন্ত খুশি ছিলো।’
‘আমেরিকা নিজেকে পরাশক্তি দাবি করে দম্ভ দেখায় আইআরজিসির ক্ষেপণাস্ত্র তাদের সেই দম্ভে আঘাত করেছে। তারা এখন বলছে আমাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করবে, কিন্তু এসবের মাধ্যমে তারা তাদের হারানো সম্মান ফিরে পাবে না।’
খামেনী বলেন ‘জেনারেল সোলাইমানির জানাজায় বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি এবং মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল আসাদে আইআরজিসির হামলার প্রশংসা করে বলেন, এ দুইটি ঘটনাতেই শিক্ষণীয় দিক রয়েছে। এক সপ্তাহব্যাপী এসব বিশাল ঘটনাকে আড়াল করতেই তিন ইউরোপীয় দেশ ইরানের পরমাণু ইস্যুকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাস্তবিক অর্থে ইউরোপীয় দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেবক। তারা এখন ইরানকে নতজানু করার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু ইউরোপতো দূরের কথা তাদের প্রভু যুক্তরাষ্ট্রও এ কাজে সফল হতে পারেনি।’