শিরোনাম
◈ চলতি বাজেটে রাজস্ব খাতে বরাদ্দ বাড়ছে, আগামী বাজেটের রূপরেখা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার ◈ খুনিকে দ্রুত জীবিত গ্রেপ্তার চাই, বন্দুকযুদ্ধের নাটক দেখতে চাই না: ইনকিলাব মঞ্চ ◈ আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের দাপট, গোল্ডসহ ১১ পদক অর্জন ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দেননি. ইনকিলাব মঞ্চ কর্মসূচি দেবে সোমবার ◈ হাদি হত্যা মামলায় নতুন মোড়, সেই ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের ব্যাংকে শত কোটি টাকার লেনদেন ◈ বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংক কিনতে চীনকে প্রস্তাব, সহজ হবে লেনদেন, কমবে ডলারের চাপ (ভিডিও) ◈ চূড়ান্ত হলো বিএনপির ৩০০ আসনের মনোনয়ন, শিগগিরই ঘোষণা ◈ ধ্বংস্তূপ থেকে আবার দেশকে টেনে তুলবে বিএনপি: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি ◈ ভারত সফ‌রে মে‌সি ৮৯ কো‌টি টাকা পে‌লেও উদ্যোক্তা শতদ্রু দ‌ত্তের ২২ কোটি টাকা ফ্রিজ করলো তদন্তকারী অ‌ফিসাররা

প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ১২ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বামী খুবই অপরিচ্ছন্ন দাঁত মাজে না এমন অভিযোগে ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী

মুসবা তিন্নি : ডিভোর্সের সাধারণত যে সকল কারণ থাকে তার বাইরে গিয়ে স্বামী খুবই অপরিচ্ছন্ন-কারণ দেখিয়ে ডিভোর্স চেয়েছেন এক নারী। - জি নিউজ বাংলা

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এই দম্পতির বসবাস ভারতের বিহার রাজ্যের বৈশালী জেলায়।

ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী নারীর নাম সোনি দেবী (২০)। বিহারের বৈশালী জেলার নয়াগ্রামে থাকেন স্বামী মণীশ রামের সঙ্গে। মনের মিলের দিক দিয়ে তাদের কোনো কমতি নেয়। তাদের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার একটাই কারণ-অপরিচ্ছন্নতা। মণীশ বরাবরই খুবই অপরিচ্ছন্ন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কোনো ঋতুতেই গোসল করেন না। সকালে উঠে দাঁত মাজতেও অনীহা তার।

এখন সোনী দেবী বলছেন, এভাবে অনেক দিন চলেছে আর নয়। এই অপরিচ্ছন্ন ব্যক্তির সঙ্গে একই বিছানায় আর থাকতে চাই না। আমি বিচ্ছেদ চাই।

২০১৭ সালে মণীশ রামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সোনী দেবী। তখনই বুঝতে শুরু করেন, তার স্বামী অন্যদের থেকে একদমই আলাদা-অপরিচ্ছন্ন।

সোনী দেবীর অভিযোগ, শুরুতে শাশুড়ির ভয়ে মাঝে মাঝে গোসল করতেন। সকালে দাঁতও মাজতেন। কিন্তু, শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর থেকে নিজের ব্যাপারে সে একেবারই গা ছাড়া দিয়েছে। টানা ৮-১০ দিন গোসল করতেন না মণীশ। দাঁত মাজা একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলেন।

কোনো উপায় না দেখে শেষমেষ বাধ্য হয়েই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন সোনি দেবী। মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ও আমার জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে। আমাকে মুক্তি দিন।

সোনী দেবী মামলা করেন মহিলা কমিশনে। তবে এখনই হচ্ছে না বিবাহ বিচ্ছেদ। মহিলা কমিশন সোনিকে এখনই বিবাহ বিচ্ছেদ না করার পরামর্শ দিয়েছে। তারা আরও দুমাস দুজনকে একসঙ্গে থাকার পরমার্শ দিয়েছে। পাশাপাশি মণীশকেও নিয়মিত গোসল ও ব্রাশ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এই দম্পতির কোনো সন্তান নেয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে মণীশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমি তার সঙ্গে থাকতে চাই। একই সঙ্গে, নিজের জীবনাভ্যাসে পরিবর্তন আনবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়