শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৯:৪২ সকাল
আপডেট : ১১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৯:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূয়া সঞ্চয়পত্রে ২১ টি ব্যাংক লোনের মাধ্যমে প্রায় ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি

সুজন কৈরী : শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৭ জানুয়ারি খুলনার খালিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মুরশিদা আফরীন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা ভ‚য়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে তারা প্রায় ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ২০০৪ সালে এবি ও ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে টাকাগুলো ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন ম্যানেজার জড়িত ছিলেন।

গ্রেপ্তার দম্পতি জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যাংক হিসাবে জালিয়াতি করে তাদের উপার্জিত দুই কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও তাদের নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি ৯ তলা বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পেয়েছি।

২০০৪ সালে সঞ্চয়পত্রের বিপরীতে ঋণ নেয়ার পর খেলাপী হলে এবি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তদন্তে জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। তখন থেকে এইচ এম এ বারিক সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে পালিয়ে ছিলেন। ২০১১ সালে গোপনে দেশে এসে আবার জালিয়াতি শুরু করেন।

ফারুক হোসেন জানান, ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ম্যানেজার আসিরুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনমাস কারাভোগ করেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যান। তবে এর সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনো কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ব্যাংক থেকে ভুয়া সঞ্চয়পত্রে ঋণ নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় দুদক ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় সাতটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো সিআইডি তদন্ত করছে।

সিআইডি জানিয়েছে, চক্রটির মূলহোতা ৪ থেকে ৫ জন শিল্পপতি। তাদের মধ্যে একজনের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়