মাজহারুল ইসলাম : ২] ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
৩] কোনও প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৩ প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।
৪] উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদ থেকে ২৬৮ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এতে সংরক্ষিত ওয়ার্ডসহ ১৭২ পদের বিপরীতে ৭৪৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই সিটিতে সব মিলিয়ে ভোটের চূড়ান্ত লড়াইয়ে প্রার্থী ৭৫৮জন।
৫] আজ রাজধানীর এনআইএলজি মিলনায়তনে ঢাকা উত্তর সিটির এবং গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এরপরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।
৬] আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা উত্তরের মো. আতিকুল ইসলাম উত্তরা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে প্রচারে নামবেন।
৭] আর ঢাকা দক্ষিণে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউন থেকে প্রচার শুরু করবেন।
৮] অপরদিকে বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়াল উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে জুমার নামাজ আদায় করার পর প্রচার শুরু করবেন।
৯] দক্ষিণে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন প্রতীক পাওয়ার পর প্রয়াত বাবা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কবর জিয়ারত করে প্রচারে নামবেন।
১০] জানা যায়, এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে সিটি নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এইচ টি ইমাম বলেন, সিটি নির্বাচনে বরং বিএনপি মহাসুবিধা পাচ্ছে। আচরণবিধি অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কোন এমপি প্রচারে অংশ নিতে পারছে না। তবে বিএনপির সবাই তাদের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারের অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিক থেকে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি বেশি সুবিধায় রয়েছে।
১১] বিএনপির আপত্তি থাকার পরও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছে। বার তাই বিএনপির আশঙ্কা, ইভিএমের মাধ্যমে নিঃশব্দে ভোট কারচুপি হবে। যা তাৎক্ষণিক প্রতিহত করা না গেলে পরবর্তীতে প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নেই। তা ছাড়া নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ডিজিটাল কারচুপি পাহারা দিতে সক্ষম চৌকস পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দিতে না পারলে সব প্রচেষ্টাই ভেস্তে যাবে। এমনকি ডিজিটাল ভোট ডাকাতির বিষয়টি দেশের জনগণ ও বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরাও অসম্ভব হবে। তাই যেকোনো ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করেও যাতে প্রতিটি কেন্দ্রে এক বা একাধিক বিচক্ষণ পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করা যায় সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ তৎপরতা চালাচ্ছেন বিএনপির নীতিনির্ধারক মহলসহ নির্বাচন মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম সারির নেতারা।
১২] নির্বাচন কমিশনের তালিকা অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পুরানো ৩৬টি ওয়ার্ডে ৫৮৯২টি ও সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে ১৪৭২টি ভোটকক্ষে গত নির্বাচনে ভোট নেয়া হয়েছে।
১৩] আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পুরানো ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৭৪৬টি এবং সম্প্রসারিত ১৮ ওয়ার্ডে ১২৫২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। সে হিসাবে গতবার প্রায় ১৩ হাজার ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
১৪] তবে এবার ঢাকার দুই সিটিতে ভোটকক্ষের সংখ্যা সাড়ে ১৪ হাজারের কিছু বেশি হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। তাই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ন্যূনতম একজন করে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করতে হলে সাড়ে ১৪ হাজার নেতাকর্মীর প্রয়োজন হবে বিএনপি’র। এছাড়া আরও অন্তত ৫ হাজার পোলিং এজেন্ট রিজার্ভ রাখা জরুরি। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি সব মিলিয়ে ২০ হাজার পোলিং এজেন্ট জোগাড়ের টার্গেটে রয়েছে।
১৫] তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কিংবা গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা আছে এমন নেতাকর্মীকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে মনোনীত না করার জন্য দলীয় হাইকমান্ড সতর্ক করে দিয়েছে। সূত্র : জনকণ্ঠ, যুগান্তর, যায়যায়দিন সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :