শাহীন খন্দকার : থাইল্যান্ডের পাড়াগ্রামে বৌদ্ধদের বিশ্বাস পুরাণ যেন সত্যিই বাস্তব কথায় রূপ নিয়েছে। তবে ফলগুলো একেবারে নারীদেহের মতো। আসলে এর সঙ্গে জুড়ে আছে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ পুরাণের একটি গল্প। কালের কন্ঠ
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘হিমাফন’ বলে বৃক্ষবনে ঘেরা এক জঙ্গলে দেবতা ইন্দ্র পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী ভেসানতারা একদিন খাবারের সন্ধানে বের হয়েছিলেন। খাদ্যের সন্ধ্যানে বাহির হয়ে তিনি কয়েকটি পুরুষ প্রাণী তাকে আক্রমণ করে। ভেসানতারাকে দেখেই সেই পুরুষদের হিংসাত্বক প্রবণতা প্রকাশ পায়। এই ঘটনার পর ইন্দ্রদেব অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তিনি জঙ্গলে ১২টি গাছ তৈরি করেন। তার নাম দেন ‘নরিফোন’। সেই গাছ নারীর দেহের আকারে ফল ফলাতে শুরু করে। নারীর মুখ ভেসানতারার আদলেই তৈরি হয়।
এরপর থেকে ভেসানতারা খাবারের সন্ধানে বের হলে সেই পুরুষ প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে যেত ফলগুলো দেখলেই। তারা ভাবত ফল নয়, এগুলোই আসল ভেসানতারা। আর এই কৌশল অবলম্ভবণ করার পর থেকে সেই সুযোগে ইন্দ্রের স্ত্রী নিরাপদে ঘরে ফিরতেন।
এখানেই শেষ নয়। সেই ফলগুলো তারা নিজেদের ঘরে নিয়ে গিয়ে সম্ভোগ করত! তারপর টানা চারমাস ঘুমিয়ে থাকত এবং দুর্বল হয়ে পড়ত তাদের সব শক্তি। অর্থাৎ, নারীকে রক্ষা করতে সেই নারী শরীরের টোপ দিয়েই কাজ আদায় করেছিলেন থাই দেবতা ইন্দ্র।
এই গাছ নাকি সেই পুরাণকেই সত্যি করেছে। নারী ফলের ভারে তার ডাল নুয়ে পড়ছে। ফলগুলো হুবহু নারী শরীরের আকারের। যদিও ভিডিও ফুটেজ দেখে সকলে এই ঘটনাকে বিশ্বাস করতে চাননি।
আপনার মতামত লিখুন :