রাশিদ রিয়াজ : চলতি অর্থবছরে ভারতে জিএসটির পাশাপাশি সরকারের প্রত্যক্ষ কর আদায়ও আশানুরূপ বাড়েনি। ফলে, প্রথম সাত মাসেই রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ পুরো বছরের বাজেট লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে নিম্নমুখী আর্থিক বৃদ্ধির মধ্যে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল জিএসটি আদায়ের পরিসংখ্যান। গত নভেম্বরের মতো ডিসেম্বর মাসেও পরোক্ষ কর আদায়ের অংক ১ লাখ কোটি ছাড়াল। ২০১৯ সালের শেষ মাসে পরোক্ষ কর বাবদ সরকারি কোষাগারে ঢুকেছে ১ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলের ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অভ্যন্তরীণ লেনদেন থেকে সরকারের জিএসটি খাতে রাজস্ব বেড়েছে এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ। আমদানি থেকে আয় করা সম্মিলিত জিএসটি (আইজিএসটি) ধরলে এক বছর আগের তুলনায় আয় বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ। গত ডিসেম্বর মাসে বিদেশ থেকে আমদানির অঙ্ক ছিল মাইনাস (-) ১০ শতাংশ। যদিও অক্টোবরে এর পরিমাণ ছিল মাইনাস (-) ২০।
২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে সারা দেশে নতুন পরোক্ষ কর ব্যবস্থা জিএসটি শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে ন'বার মাসিক জিএসটি আদায় ১ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি পার হল। আর চলতি অর্থবছরে সংখ্যাটা পাঁচ বার।
চলতি অর্থবছরে জিএসটির পাশাপাশি সরকারের প্রত্যক্ষ কর আদায়ও আশানুরূপ বাড়েনি। ফলে, প্রথম সাত মাসেই রাজকোষ ঘাটতির পরিমাণ পুরো বছরের বাজেট লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিগত কয়েক মাস জিএসটি আদায় কম হওয়ায় রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য দিতে গড়িমসি করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে ভারতের কেন্দ্র সরকার দেরি করায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ বহু রাজ্য কড়া সুরে অভিযোগ জানিয়েছে। রাজ্যগুলির অভিযোগ, তাদের মোট রাজস্বের ৬০ শতাংশই আসে জিএসটি থেকে। অর্থনীতির মন্দাজনিত কারণে এ বছর জিএসটি আদায় কম হওয়ায় আর্থিক সঙ্কটের মুখে তারা পড়তে চলেছে। টানা দু'মাস জিএসটি আদায় ১ লাখ কোটির অংক ছাড়ানোয় স্বভাবতই স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের নীতি নির্ধারকরা।