ফারুক আস্তানা : ঢাকা শহরকে বাঁচিয়ে তুলতে সরকার ও মেয়রের পাশাপাশি জনগণের সচেতন সহযোগিতা থাকা উচিত। ভোটের অবদানের চেয়েও প্রতিদিন নগর চর্চা করা দরকার। তাহলেই রাজধানী ঢাকা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে বাংলাদেশকে চিনিয়ে যাবে। সিটি করপোরেশন ভোট নিয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি করপোরেশনের মধ্যকার সংস্থাগুলোর গুরুত্বহীন কর্মকা- দায়িত্বহীন দোষারোপ সংস্কৃতি ও জবাবদিহিতার অভাবে যুগের পর যুগ নগরের সমস্যা সমাধান না হওয়া নাগরিকের নাভিশ্বাস উঠে যাওয়া। ঢাকা শহর পৃথিবীর অন্যতম অবাসযোগ্য শহরে পরিণত হওয়া। তা নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ আছে, আছে প্রশ্ন। রাজধানী ঢাকার সমস্যা ও রোগ নিয়ে সচেতন হতে হবে। কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করার দরকার আমরা কি শুধু মেয়র নির্বাচন করবো। ভোটকে উৎসবে পরিণত করবো। নাকি শহরটাকে বাঁচানোর জন্য ভূমিকা নেবো প্রশ্নপত্র ছুড়ে দেবো,
করপোরেশনের মধ্যকার সব সংস্থাগুলো জরুরি ভিত্তীতে শহরটাকে বাঁচানোর জন্য। গুরুত্ব নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার তাগাদা দিতে হবে। দেশের মানুষ যদি মুমূর্ষু ঢাকা শহরকে বাঁচানোর চেয়ে নগর পিতা তথা মেয়র নির্বাচনে গুরুত্ব ও তাৎপর্য বেশি মনে করে তাহলে বলতে হবে আপনার ঢাকা নগরই যদি সুস্থ না থাকে, বেঁচে না থাকে তাহলে নগর পিতা বা মেয়ের নির্বাচন করে কি অর্জন করা যাবে। ঢাকা শহর তার বয়স চারশ বছর পার করেছে। ভারত গেলো, ব্রিটিশ গেলো, পাকিস্তান আমল গেলো বাংলাদেশের রাজধানী হয়ে আছে আটচল্লিশ বছর আজ পর্যন্ত শহরের সুষ্ঠু ময়লা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি কোনো সরকার বা শাসক। কর্তৃপক্ষ শহরটাকে নোংরা থেকে পরিষ্কার করার চেয়ে শর্টকাট নগরের কিছু কিছু অংশ বেছে নিয়ে অবর্জনা মুক্ত করেছে। সেসব এলাকায় অতি ধনী ভিভিআইপিরা থাকছে।
এছাড়া বাদ দিলে বাকি পুরো ঢাকা সিটিটাই ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিবেকবান রাজনৈতিক মানুষরা যখন জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়ে নগর উন্নয়নে কাজ করতে নামেন তখন তারা পাঁচটা সংস্থার ছয়টা নীতিগত সমস্যার কারণে এক হতে না পারা তার উপর সংস্থাগুলোর দোষারোপ অবহেলার কারণে এসব নিয়ে মিটিং করতে করতে হাঁপিয়ে যান এভাবে মেয়র সাহেবদের সময় ফুরিয়ে আসে। এভাবে একজন মেয়র ইচ্ছা থাকার সত্ত্বেও শুধু আমলা নীতির কাছে হারতে বাধ্য হচ্ছেন। জনগণ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেমন চায়, তেমনি নগরভবন সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাও সমনয়হীনতা দূর করার ভূমিকা দেখতে চায়। ফেসবুক থেকে