শিমুল মাহমুদ ও রাজু আলাউদ্দিন : সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নারী শিশু অধিকার ফোরাম’ আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৯ ডিসেম্বর রাতের অবৈধ ফসল হচ্ছে আজকের পার্লামেন্ট। রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে যদি আমরা পার্লামেন্টে যোগ দিয়ে থাকি তবে আমাদের দায়িত্ব সর্বপ্রথম পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করা।
তিনি বলেন, আমরা পার্লামেন্টে থাকবো আবার সরকারের পতন চাইবো এটা জনগণ পছন্দ করবে না। অর্থাৎ আমরা যেটা চাই সেটা জনগণের কাছে স্পষ্ট হতে হবে। আমরা সরকারের পতন চাই। যতক্ষণ আমাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য জনগণের কাছে স্পষ্ট না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো আন্দোলন দানা বেঁধে উঠবে না।
গয়েশ্বর বলেন, এখন খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি হবে না তা আদালতের ওপর নির্ভর করে না। এসকে সিনহার যে নির্মম বিদায় তাতে বর্তমান বিচারপতিরা সাবধান হয়ে গেছেন, তাদের পরিণতি এরকম হোক সেটা তারা চাইবেন না।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি নির্ধারণ করেন শেখ হাসিনা। তিনি অনুমতি দেবেন কিনা সেটা নির্ভর করে আরেকটি দেশের ওপর।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ভারত সেটা মনে করে না,এমন মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, যদি তারা সেটা মনে করত তাহলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে গেছেন কিন্তু তাকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দেয় নাই কেন? অথবা সরকারের পক্ষ থেকে তার কোনও প্রতিবাদ হয় নাই কেন? কেন তিনি অনুষ্ঠান বর্জন করে দেশে ফিরে এলেন না? বুঝতে হবে যারা ৭১-এ আমাদেরকে সাহায্য করেছে আমরা মনে করি, তারা আমাদেরকে সাহায্য করেছে কিন্তু ৪৭ বছর পরে ; ভারত মনে করে তারা সেদিন বিনিয়োগ করেছে। আমাদের দেশে তারা যে বিনিয়োগ করেছে তারা আমাদের কাছ থেকে নিতে চায়। সম্পাদনা : সমর চক্রবর্তী