শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ০৮ অক্টোবর, ২০১৯, ০৭:৫১ সকাল
আপডেট : ০৮ অক্টোবর, ২০১৯, ০৭:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের পক্ষে কথা বললে সে শিবির হবে, এটা কেমন কথা?

নিউজ ডেস্ক: আবরার ফাহাদ কি অপরাজনীতির বলি হলো?

দলে যখন শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা, তখন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতা-কর্মীদের হাতে নিহত হলো আবরার ফাহাদ। এটা যেন দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

তার আগেও দেখা গেলো ঢাবিতে বিরোধী ছাত্র সংগঠনকে মারধর ও মধুর কেন্টিনে বসতে না দেয়ার ঘটনা। তাহলে এ কেমন শুদ্ধি অভিযান? আগের সাথে এখনকার অবস্থার পার্থক্য কোথায়?

তবু ধন্যবাদ ছাত্রলীগকে। তারা আবরার হত্যার নিন্দা করেছে। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনায় সাংগঠনিক তদন্তে কমিটি করেছে।

একইভাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, ভিন্নমতের কাউকে এভাবে মেরে ফেলতে হব? বিএনপি তো দিল্লী চুক্তিকে দেশ বিরোধী বলেছে। তাই বলে কি বিএনপি নেতাদের মেরে ফেলবো?

আবরার ফাহাদ কি অপরাধ করেছিলো যে তাকে মেরে ফেলতে হলো? সে কি অপরাধী? সে কি সন্ত্রাসী? সে কি ভিন্ন কোন দল ও সংগঠন করে? না, কিছুই না। সে তার ফেসবুকে দিল্লীতে দুই দেশের সই হওয়া চুক্তি বা সমঝোতার কিছু বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে লিখেছে। তাহলেতো সে দেশপ্রেমিক। কোন দল ও সংগঠন না করেও যে দেশের পক্ষে কথা বলে তাকেতো সবারই সম্মান ও শ্রদ্ধা করা উচিৎ ছিল। কিন্তু ওই বুয়েটের বড়ো ভাইয়েরা সেটা পছন্দ করেনি। তার ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে মনে হয়েছে সে শিবির করে। দেশের পক্ষে কথা বললে সে শিবির হবে, এটা কেমন কথা? তাহলে অন্যরা কি দেশপ্রেমিক না? আজব যুক্তি।

আসলে এটা হচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। ভিন্নমত, ভিন্ন দল, ভিন্ন মানুষ সহ্য না করার স্বৈরতান্ত্রিক অপসংস্কৃতির রাজনীতি। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন আর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা হয় না। এই কারনে যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তার গর্ভে জন্ম নেয়া রাজনৈতিক কর্মীদের শিক্ষাটা হলো বিপক্ষের দল ও মতকে দমন করো। যদি প্রতিপক্ষ নিঃশেষ হয়ে যায়, তখন নিজ দলের ভিন্ন গ্রুপকেও নিশ্চিহ্ন করো।

এই প্রক্রিয়ায় রাজনীতি চলতে চলতে এখন তা ফ্রাঙ্কেনষ্টাইনে রুপ নিয়েছে। তাই শুদ্ধি অভিযানে দৃশ্যমান অনেক ঘটনার পরও কিছুতেই রাজনীতির পরাক্রমশালী দানবদের ঠেকানো যাচ্ছে না। সূত্র: যুগান্তর

লেখক: মোস্তফা ফিরোজ, হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়