আক্তারুজ্জামান : ইতিহাস গড়েই যে থামবে না মারিও লোমেসের শিষ্যরা সেটা দ্বিতীয় পর্বেই বোঝা গেলো। এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খ্যাত এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের প্রথম লেগে উত্তর কোরিয়ান ক্লাব এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী। যারা ঘরোয়া লিগে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি। দুই লেগের প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে রইলো নাবীব নওয়াজ জীবনরা।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আধিপত্য দেখিয়ে জিতলেও নিজেদের দূর্গ অক্ষত রাখতে পারেনি গতবারের লিগজয়ীরা। কোরিয়ান ক্লাবের তারকারা বারবার আক্রমণ করেছে আকাশী-হলুদ শিবিরে। যদিও মারিও লোমেসের দক্ষ প্রশিক্ষণে ম্যাচ জিতেই তবে মাঠ ছেড়েছে ধানমন্ডির দলটি।
প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিলেন সানডে চিজোবারা। যদিও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পাননি তিনি। সোহেল রানা ও নাবীব নওয়াজ জীবনকে দিয়ে দুটি গোল করিয়েছিলেন। ৩১ ও ৩৭ মিনিটের দুটি গোলেই এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের রানার্সআপরা। ৩৫ মিনিটে একটি গোল করে ব্যবধান কমান জং হিউক।
বিরতিতে থেকে ফিরে যেনো নতুনভাবে শুরু করলেন সানডে। প্রথমার্ধে গোলের দেখা না পেলেও শেষার্ধে কোরিয়ান চ্যাম্পিয়নদের জালে পরপর দুবার বল পাঠান নাইজেরিয়ান এ ফরোয়ার্ড। ৫৭ ও ৬১ মিনিটে কোরিয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করে শহীদুল আলমকে একটু নিশ্চিন্ত করেন এ বিদেশি। যদিও প্রথমপর্বের ত্রাতা মসিহ সাইঘানি ছিলেন না আবাহনী দলে। ইতিমধ্যে দলবদলের কবলে পড়ে পাড়ি জমিয়েছেন ভারতে। ছিলো না মিশরের নতুন ফরোয়ার্ডও। লাল কার্ডের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি প্রথম ম্যাচে খেলতে পানেনি। তবে পুরোনো তারকারাই প্রথম লেগ জিতে নিজেদেরকে এগিয়ে রাখলো। এএফসি কাপের নক আউটপর্বে আবাহনী খেলবে আগামী ২৮ আগস্ট। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এপ্রিল টুয়েন্টি ফাইভের আতিথ্য নেবে আবাহনী।