সুলতান মির্জা : মনে আছে নোলকের নাম? দেশের অন্যতম জমজমাট রিয়েলিটি শো ক্লোজআপ ওয়ানের কপি শিল্পী। ক্রিয়েটিভ কোনো লক্ষণ ছিলো না, অন্যের গান কপি করে গেয়েছিলো। পাবলিক তার গান যতোটা না গিলেছে তার চেয়ে বেশি গিলেছে তার পরিবারের দুর্দশার ভিডিও ফুটেজ। পাবলিক সেন্টিমেন্ট বলে কথা, বিচারক রায়ে সেরা না হলেও পাবলিক এসএমএস ভোটে নোলক হয়ে গেলো ক্লোজআপ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন। আজকে যদি প্রশ্ন করি এই তো কয়েক বছর আগে যেই বস্তির পোলা নোলককে পাবলিক আবেগে তারকা বানিয়েছিলো, সেই নোলক এখন কোথায়? যেই নোলককে নিয়ে পাবলিক এতো মেতে উঠেছিলো, সেই নোলক আজকে কোথায়? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ হয়তো নোলক আছে, হয়তো নোলক নেই। কিন্তু নোলককে চূড়ান্ত বিজয়ী করতে পাবলিক যে ভুল করেছিলো তা মনে করে হয়তো অনেকেই আজকে লজ্জা পাচ্ছে কারণ তাদের আবেগের কারণে বানরের গলায় উঠেছিলো মুক্তার মালা। সেই বানরই পরে মুক্তার মালা খেয়ে খতম করেছে।
আমি আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি আজকেও বলছি এদেশে ইমু সেক্সের ট্রেন্ড আইকন হলো রেশমি এলোন। বস্তির মেয়ে রেশমি চেহারা থাকুক আর না থাকুক, নিজের ইমু সেক্স প্রচার ক্রিয়েটিভি লাইভ ভিডিও করে আজকে ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। দামি গাড়িতে চলে। পাবলিক তাকে নিরাশ করেনি, ইমু সেক্স বিজ্ঞাপনের লাইভ ভিডিও দেখেছে, মুগ্ধ হয়ে আগে বিকাশ করে ইমুতে সেক্স করে রেশমিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যদিও বাঙালের আক্কল জ্ঞান বরাবর কম, কাজেই আক্কল দিলেও আক্কেল হবে না, জ্ঞান-বুদ্ধি বাড়বে না। বাঙাল চলে আবেগে। তারপরও বলছি কপি শিল্পী অর্থাৎ অন্যের গাওয়া গান হুবুহু করে কিংবা প্রায় কাছাকাছি টাইপে গাওয়া কোনোভাবেই ক্রিয়েটিভিটি বোঝায় না। ক্রিয়েটিভিটি অন্য জিনিস, এদেশে এই বাজারে অপরিচিত আনফেস ভ্যালু অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের ক্রিয়েটিভিটি পাবলিকের সামনে তুলে ধরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একশ্রেণির মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে। আজকে গর্ব যদি করতেই হয় তাহলে বাঙালের উচিত সেসব ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট, শিল্পীদের নিয়ে গর্ব করা। কোনোভাবেই পশ্চিম বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সারেগামাপার কপি শিল্পী নোবেলকে নিয়ে নয়। এজন্য যে নোবেল ভালো গেয়েছে কি মন্দ গেয়েছে সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো সে প্রতিষ্ঠিত কিছু গানের হুবুহু নকল করে গেয়েছে। যা থেকে তার নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ পায় বলে বিশ্বাস করি না। অপরদিকে যারা নোবেলে ক্রিয়েটিভিটি পেয়ে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় সংগীত ইস্যুর বক্তব্যকে গ্রুমিং ট্রুমিং হাবিজাবির অভাব দেখার বা বোঝানোর চেষ্টা করে নোবেলের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছে। সত্যি বলতে কি, তাদের বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে। এজন্য যে নোবেলের নিজের কোনো সুর নেই, নিজের কোনো কণ্ঠ নেই। নোবেল গেয়েছে অন্যের সুরে অন্যের কণ্ঠ নকল করে। যদিও গানের সুরকার ও লেখক অন্য কেউ আলাদা আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কণ্ঠ? হুবুহু কপি করার প্রচেষ্টা ছাড়া সেটা কি নোবেলের ছিলো? প্রশ্নটা রেখে গেলাম... ফেসবুক থেকে