আলাউদ্দিন আল আজাদ : রাজধানীর প্রধান তিনটি সড়কে রিকশা তুলে দেয়াকে স্বাগত জানাই এবং পর্যায়ক্রমে সব রাস্তা থেকে রিকশা তুলে দেয়ার জোর দাবি জানাই। একটা দেশের রাজধানী শহরের রাস্তার ৮০ শতাংশ ধীর গতির লাখ লাখ অযান্ত্রিক বাহন দখল করে রাখবে ভাবা যায়? রিকশার লাইসেন্স নেই, চালকেরও লাইসেন্স নেই, সরকারকে ১ টাকা ট্যাক্স দেয় না, অথচ সারারাস্তাজুড়ে নবাবের মতো দাবড়াইয়া চলে। পৃথিবীর কোনো দেশের রাজধানী শহরে এমনকি বাংলাদেশের চেয়েও অনেক গরিব দেশের রাজধানীতে রিকশা নেই। তারা কীভাবে চলাফেরা করে? আসলে আমরা একটা কিছুতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে কোনো ধরনের পরিবর্তন সহ্য করতে পারি না।
রিকশা না থাকলে রাস্তায় আরও বেশি পরিমাণ গাড়ি চলতে পারবে, এক ট্রিপের জায়গায় তিন ট্রিপ দিতে পারবে। শহর যানজটমুক্ত হবে, রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন হবে, রাস্তায় ... বন্ধ হবে, রিকশাচালকদের কেন্দ্র করে কয়েক লাখ রুটি কলার দোকান যারা ফুটপাথ দখল করে, ময়লা দিয়ে ম্যানহোল বন্ধ করে তার নিরসন হবে। মানুষ তখন হাঁটতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
অনেকে কথায় কথায় বিকল্প কর্মসংস্থানের কথা বলেন। এটা হাস্যকর। বহু ধরনের কাজ আছে দেশে, রিকশা তুলে দিলে রিকশাওয়ালারা নিজেদের তাগিদেই কাজ বেছে নেবে। আদমজী জুট মিলে ২ লাখ শ্রমিক কাজ করতো, মিল বন্ধ করার আগে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা করেছিলো? করেনি। তারাই নিজেদের প্রয়োজনে কাজ বেছে নিয়েছে। রিকশাচালকদের জন্য আলাদা কাজ তৈরি করতে হবে কেন? আর ঢাকায় বন্ধ হলেও সারাদেশে রিকশা চালানোর সুযোগ তো থাকবেই। রিকশাচালকরা যতোই আন্দোলন করুক এদের অন্যায় আবদারের কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না। কঠোর হস্তে দমন করতে হবে এদের আন্দোলন। ফেসবুক থেকে