আলতাফ পারভেজ : বিশ্বের কোনো অঞ্চলে যখন বিপজ্জনক জাতিবাদী ভাবাদর্শের বিকাশ ঘটতে থাকে তখন তাকে সেখানকার ‘অভ্যন্তরীণ ঘটনা’ হিসেবে বিবেচনা করে চোখ বন্ধ করে রাখা কঠিন। এর সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ ভারতে বিজেপির দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ের পরই জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষে তাদের ভোট প্রদানের ঘটনা। এই প্রথম জাতিসংঘে ভারত সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে কোনো প্রস্তাবে ভোট দিলো। ‘সাহেদ’ নামে ফিলিস্তিনি একটি এনজিওকে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদে (টঘ ঊঈঙঝঙঈ-এ) পর্যবেক্ষক সদস্যপদ দেয়ার বিরুদ্ধে ইসরায়েল আপত্তি তুলে প্রস্তাব আনলে তার পক্ষে-বিপক্ষে ভোট হয় ৬ জুন। সেই ভোটে ভারতের মোদী সরকার ইসরায়েলের পক্ষে ভোট দেয়।
সাহেদের বিপক্ষে আরও অনেক দেশই ভোট দেয়। তবে নেতানিয়াহু বিশেষভাবে ভারতের সমর্থনে উল্লসিত। সে জন্য আলাদাভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করলেন। ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন যে, শুধুই একটা নির্বাচনী ঘটনা নয়—এর যে দীর্ঘস্থায়ী বৈশ্বিক ভাবাদর্শিক প্রভাব থাকবে তারই ইঙ্গিত জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি একটি মানবাধিকার সংগঠনের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বশেষ অবস্থান এবং নেতানিয়াহুর উল্লাস।
অতীতে আন্তর্জাতিক পরিসরে যেসব দেশ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শক্তভাবে দাঁড়াতো, তার মধ্যে ভারতও থাকতো। কিন্তু বিজেপির শাসনামলে কেবল যে এর ব্যতিক্রম ঘটছে তাই নয়- খোদ ইসরায়েলের অবস্থানকে ভারত ভোট দিয়ে সমর্থন জানাচ্ছে। সর্বশেষ এই ঘটনার কৌতূহল উদ্দীপক দিক হলো, জাতিসংঘে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে নিজ দেশের ভোট প্রদানের এরকম একটি ‘নতুন’ ঘটনা অধিকাংশ ভারতীয় মিডিয়া প্রথমে এড়িয়ে যায়। কিন্তু নেতানিয়াহু টুইট করার পর বিষয়টি প্রচার না করে আর উপায় থাকেনি তাদের। ফেসবুক থেকে