আসিফ হাসান কাজল: প্রতিবন্ধীদের চাহিদার তুলনায় এ বাজেট খুবই অপ্রতুল। বাজেট প্রণয়নে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছে প্রতিবন্ধীদের নয়টি সংগঠন। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অবস্থান’ শীর্ষক সংবাদ সন্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এবারের বাজেটে ভাতার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভাতায় অধিক নির্ভরতা প্রতিবন্ধীদের উৎপাদনমুখী উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে।
আ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা বলেন, দেশের ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হলেও এ বছর প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে একটি ইউনিয়নে মাত্র দুইজন ভাতার আওতায় আসতে পারবে। এ বরাদ্দ প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার হার বাড়াতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখবে না।
তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতের বাজেটের মাত্র ২.১৯ শতাংশ, যা মোট বাজেটের মাত্র ০.৩১ শতাংশ। প্রতিবন্ধীদের বাজেট বরাদ্দ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ, অথচ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ধারণায় মন্ত্রণালয় ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন ছিল।
তারা কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে প্রস্তাবিত বাজেটে পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেন। দাবিগুলো হচ্ছে, প্রতিবন্ধীদের যথাযথ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে সঠিক সংখ্যা নিরূপণ, শতভাগ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির ব্যবস্থা, সর্বক্ষেত্রে অবকাঠামোগত ও তথ্যগত প্রবেশগম্যতার নিশ্চয়তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাজেট বরাদ্দ।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন ডব্লিউডিডিএফের নির্বাহী আশরাফুল নাহার মিস্টি, ডিসিএফের নির্বাহী পরিচালক নাসরিন জাহান, এসডিএসএলের ওসমান খালেদ প্রমুখ।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়