মোহাম্মদ মাসুদ : বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বলছে, দেশের কারাগারগুলোতে স¤প্রতি দুজন বন্দির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে তারা। এ সপ্তাহেই চট্টগ্রামের কারাগারে একজন আসামীর মৃত্যুর পর অভিযোগ উঠেছে যে আরেকজন বন্দি মাথায় ইঁট দিয়ে আঘাত করে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বিবিসি বাংলা
মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, কেউ দাগী আসামী হলেও কারাগারের মতো সুরক্ষিত জায়গায় হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক। কয়েকদিন আগে পঞ্চগড় কারাগারেও একজন আইনজীবীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বিবিসির সাথে সাক্ষাতকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দুটি ঘটনাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে কারও গাফিলতি থাকলে বা কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটনা ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা পঞ্চগড়ে ঘটে গেছে, সেটার জন্য তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আর এই চট্টগ্রামে ঘটনা যেটি ঘটেছে, দুই জনই অপরাধী ছিলেন। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, তদন্তে ত্রুটি বা সমস্যা চিহ্নিত হলে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কারাগারের মতো একটি সুরক্ষিত এলাকায় এ ধরণের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, পঞ্চগড় এবং চট্টগ্রামের দুটি ঘটনার ব্যাপারে কমিশন সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে।
তিনি বলেন, এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। এটা দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে, কারাগার যেখানে নিরাপদ একটা অবস্থান হওয়ার কথা, সেখানে এমনটা হওয়া বেশ উদ্বেগের। মানে এরকম হওয়ার কথা নয়। যেহেতু এটা ঘটেছে, ফলে কোথাও ত্রুটি আছে। সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে বলা হয়, কারাগারের সেলের কক্ষে যে বন্দি গত বুধবার রাতে ইটের টুকরো দিয়ে অমিত মুহুরীর মাথায় আঘাত করেন, সেই বন্দিকে ঐদিনই বিকেলে ঐ কক্ষে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এই কমিটির একজন সদস্য এমনটা জানিয়েছেন।
মানবাধিকার কর্মী হিসেবে কারাগারের বেসরকারি পরিদর্শক দলের সদস্য ছিলেন এলিনা খান। তিনি বলেছিলেন, কারাগারে এমন ঘটনার নজির তেমন নেই। ফলে এখন দ্রুত কারণ চিহ্নিত করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
তবে কারা কর্তৃপক্ষ থেকে ঘটনাগুলোর ব্যাপারে কোন বক্তব্য বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।