শিরোনাম
◈ মানুষে সংক্রমণ সক্ষম হলে করোনার চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বার্ড ফ্লু: বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা ◈ খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটময়’, দেশবাসীর দোয়া চাইলেন ফখরুল (ভিডিও) ◈ ভিন্ন মতকে শত্রু দেখার প্রবণতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান মির্জা ফখরুলের ◈ নতুন সক্রিয় ফাটলরেখা শনাক্ত: ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদল ও বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকির ইঙ্গিত ◈ বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বড় বিনিয়োগে চীনের আগ্রহ: পাট, সবুজ প্রযুক্তি ও ফার্মায় গুরুত্ব ◈ আরও ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র ◈ অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন: ট্রাম্পের লক্ষ্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ◈ ‘ক্ষমতায় এলে বিএনপিসহ সবাইকে নিয়েই দেশ পরিচালনা করবো’ ◈ ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে যুবলীগ নেতার স্ত্রীর হুমকি, ভিডিও ভাইরাল ◈ শিক্ষকদের আন্দোলনে চলতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় দুই কোটি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৯, ০৬:৫৭ সকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৯, ০৬:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. আরেফিন সিদ্দিক বললেন, পিইসি পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে

আবদুল অদুদ : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই স্কুলে পরীক্ষা দেয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, শিশুদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টিকারী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে প্রশ্নফাঁসসহ সকল অনিয়ম।

নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক জানান, সরকার যখন প্রশ্নফাঁস বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই স্কুলেই পরীক্ষা দেয়া দুঃখজনক। তিনি বলেন, এর ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তখন বিভিন্ন বিশেষ সুযোগ গ্রহণ করে। যেমন : পরীক্ষার হলে অন্য স্কুলের দায়িত্বপালনকারী পরিদর্শক থাকলেও তাদের সাথে যোগসাজসে তাদের শিক্ষার্থীদেরকে অনৈতিক সহায়তা দেয়া হয়, অবাধে ওই স্কুলের শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে যাওয়া-আসা করে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহকারি কেন্দ্র সচিব থাকায় তারা একটি আলাদা পাওয়ার এক্সারসাইজ করেন। এমন অবৈধ সুযোগ নেয়ায় তাদের ফলাফল খুব ভালো হয়।

 

ভুক্তভোগীরা জানান, সরকার যদি প্রশ্নফাঁস বন্ধ কিংবা পরীক্ষায় অসদুপায় বন্ধ করতে আন্তরিকভাবে চায়, তাহলে স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের অন্য স্কুলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা, তারা যখন সুযোগটি পাবে না, তখন অন্যদেরকেও এ সুযোগটি আর দিবে না, বন্ধ হবে অনিয়ম। এবিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান বলেন, স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের একই স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয় বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য। এজন্য মাঠ পর্য়ায়ে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সুতরাং এটি বন্ধ হওয়া জরুরি।

 

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। যেহেতু আমাদের শিক্ষানীতিতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা, সেহেতু প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ করার আহবান করছি। তিনি বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের উপর খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ৮ম শ্রেণিতে যে পরীক্ষা হয়, তাতে যেন কোনোরকম অনিয়ম না হয়, সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। এবছর সমাপনী পরীক্ষা হোক বা না হোক স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওই স্কুলে পরীক্ষা নেয়াসহ পরীক্ষায় সকল অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধ করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়