শিরোনাম
◈ ডিএমটিসিএল কর্মকর্তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস, রাতেই চালু হচ্ছে মেট্রো রেল, খুলে দেওয়া হয়েছে স্টেশন ◈ হাদিকে গুলি করা দুজনকে ‘শনাক্তের’ দাবি দ্য ডিসেন্টের ◈ ওসমান হাদিকে নেয়া হলো এভারকেয়ারে ◈ গণভোটে ‘হ্যা’ ভোট বেশি পড়লে কী হবে, যা জানাগেল ◈ ওসমান হাদিকে গুলি, হামলাকারীদের সম্পর্কে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ ভাঙ্গায় মহাসড়কে কেয়ারটেকারকে বেঁধে ৪০ ড্রাম বিটুমিন ডাকাতি ◈ ভোটের অনিয়ম করতে আসলে হাতের কব্জি কেটে দেয়া হবে: খেলাফতের আকরাম আলী ◈ ঢাকা মেডিকেলে সেনা মোতায়েন ◈ হাদির মস্তিষ্কে গুলি লেগেছে, অপারেশন চলছে: ঢামেক পরিচালক ◈ নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত হবে যেভাবে

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৯, ০৬:৫৭ সকাল
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৯, ০৬:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. আরেফিন সিদ্দিক বললেন, পিইসি পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে

আবদুল অদুদ : প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই স্কুলে পরীক্ষা দেয়া নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, শিশুদের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টিকারী প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে প্রশ্নফাঁসসহ সকল অনিয়ম।

নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক জানান, সরকার যখন প্রশ্নফাঁস বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই স্কুলেই পরীক্ষা দেয়া দুঃখজনক। তিনি বলেন, এর ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তখন বিভিন্ন বিশেষ সুযোগ গ্রহণ করে। যেমন : পরীক্ষার হলে অন্য স্কুলের দায়িত্বপালনকারী পরিদর্শক থাকলেও তাদের সাথে যোগসাজসে তাদের শিক্ষার্থীদেরকে অনৈতিক সহায়তা দেয়া হয়, অবাধে ওই স্কুলের শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে যাওয়া-আসা করে, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহকারি কেন্দ্র সচিব থাকায় তারা একটি আলাদা পাওয়ার এক্সারসাইজ করেন। এমন অবৈধ সুযোগ নেয়ায় তাদের ফলাফল খুব ভালো হয়।

 

ভুক্তভোগীরা জানান, সরকার যদি প্রশ্নফাঁস বন্ধ কিংবা পরীক্ষায় অসদুপায় বন্ধ করতে আন্তরিকভাবে চায়, তাহলে স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের অন্য স্কুলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা, তারা যখন সুযোগটি পাবে না, তখন অন্যদেরকেও এ সুযোগটি আর দিবে না, বন্ধ হবে অনিয়ম। এবিষয়ে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমান বলেন, স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের একই স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয় বিশেষ সুবিধা দেয়ার জন্য। এজন্য মাঠ পর্য়ায়ে সরকারের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সুতরাং এটি বন্ধ হওয়া জরুরি।

 

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। যেহেতু আমাদের শিক্ষানীতিতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা, সেহেতু প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ করার আহবান করছি। তিনি বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের উপর খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তিনি উল্লেখ করেন, ৮ম শ্রেণিতে যে পরীক্ষা হয়, তাতে যেন কোনোরকম অনিয়ম না হয়, সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে। এবছর সমাপনী পরীক্ষা হোক বা না হোক স্বাগতিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওই স্কুলে পরীক্ষা নেয়াসহ পরীক্ষায় সকল অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বন্ধ করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়