শিরোনাম
◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে ◈ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি ◈ প্রথমবারের মতো জাপানের রাজনৈতিক দলের নেতা হবে AI ◈ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ◈ ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস ৮ দিন বন্ধ থাকবে

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০১৯, ০৯:১৭ সকাল
আপডেট : ২৭ মে, ২০১৯, ০৯:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঈদে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে নৌ পথ

সাজিয়া আক্তার: বরিশাল অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ রাজধানী থেকে বাড়িতে অথবা ঢাকামুখী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নৌ-পথই প্রথম পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করেন। কিন্তু কালবৈশাখী’র মৌসুমে এই যাত্রা কখনোই সহজবোধ্য হয় না। মৌসুমের এই সময়টাতে ঝুঁকি বাড়ে নৌ-পথের যাত্রীদের। ঝড়ের মৌসুম এলেই নদী বেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলে নৌ-দুর্ঘটনায় যাত্রীদের প্রাণহানি ঘটে।

সূত্র বলচে, এবার ঈদে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ ঘরে ফিরবেন নদীপথে। ইতোমধ্যে তাই প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২৫০ যাত্রীবাহী লঞ্চ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঝড় মৌসুম ও অবৈধ মালবাহী জাহাজের কারণে ঈদে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে নৌ পথ। পাশাপাশি সদরঘাটে লঞ্চের তুলনায় পন্টুন অনেক কম থাকায় যাত্রী ভোগান্তি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে চার ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা।

ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটের গুরুত্বপূর্ণ মিয়ারচর চ্যানেল। এখানে থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করলেও নেই প্রয়োজনীয় পথ নির্দেশক বয়া বাতি।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ ভরা ঝড় মৌসুমে হওয়ায় কুলকিনারাহীন নদীতে বয়া বাতি না বসালে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে নদীপথ। ঈদে সে ঝুঁকি আরও কয়েকগুণ বাড়াবে নৌ পথে অদক্ষ চালক দিয়ে চলাচল করা মালবাহী নৌযান।

এছাড়া সদরঘাটে পন্টুন কম থাকায় যাত্রী ভোগান্তি বাড়বে বলেও মনে করেন মালিকরা।

বিআইডব্লিউটিএ বলছে, এ মুহূর্তে ঈদের আগে আর পন্টুন বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদে মালবাহী নৌযান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলে কোন লঞ্চ ছাড়তে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীচাপ বিবেচনায় ৪৩টি নৌ রুটের মধ্যে ঢাকা-বরিশাল রুটে, ঢাকা-চাঁদপুর রুটে ও ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে লঞ্চের পাশাপাশি বিশেষ সার্ভিসও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মো. আলমগীর কবির বলেন, ঈদে প্রয়োজনীয় লঞ্চের পাশাপাশি আরও বাড়তি সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে। যদি তিন নম্বর বিপদসংকেত পড়ে তবে সমস্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এক্ষেত্রে তেমন কিছু করার নেই।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডোর মাহবুব উল ইসলাম বলেন, পন্টুন দেয়ার মত জায়গা কম থাকায় আমরা আপাতত অন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

ঢাকা নদীবন্দরের হিসেবে এ বছর ঈদ করতে সদরঘাট হয়ে নৌপথে ঘরে ফিরবেন প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে শুধু আশ্বাস নয়, প্রয়োজন ঝড় মৌসুম ও ঝুঁকিপূর্ণ মালবাহী নৌযানের কথা বিবেচনায় রেখে সবগুলো সংস্থার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ।সময় টিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়