ইউসুফ আলী বাচ্চু: ছাত্রলীগের থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। এমনকি তারা ঈদের দিনও রাজু ভাস্কর্যে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা বলেন, আমাদের আপত্তি যারা কোনদিন ছাত্রলীগ করেনি এবং জামায়াত পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান। এর আগে রবিবার রাত ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচিতে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের দাবিগুলো হলো পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের স্থান দেওয়া এবং মধুর ক্যান্টিনে ও টিএসটিতে তাদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করা।
এর আগে, রবিবার ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ১১টায় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ৩০১ সদস্যের সবাইকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সবাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন। এবারও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিতর্কিতদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তাদের দাবি মেনে না নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে যাওয়া হচ্ছে। ৩২ নম্বও তো একটি পবিত্র যায়গা সেখানে রাজাকারের পরিবারের লোকেরা আসবে সেটা আমরা মেনে নিতে পারি না।
ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিতদের নিয়ে বুধবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। তাদের ঘোষিত এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিতর্কিত কমিটিকে বৈধ করার পাঁয়তারা চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা সভাপতি বিএম লিপি আক্তার বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গে আছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মাদকাসক্ত, বিবাহিত, জামায়াত-শিবির পরিবারের যারা; তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। প্রধানমন্ত্রী ১৭ জনের একটি লিস্ট দিয়েছেন। ১১দিন আগে তাদের নাম ঘোষণা করা হলেও তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়নি এবং তাদেরকে নিয়ে ফুল দিতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে অছাত্র, বিবাহিত, চাকরিজীবী, ছাত্রদল রয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলন করেন পদবঞ্চিত এবং পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। পরে ১৯ মে আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন,সাইফুল ইসলাম বাবু,রাকিব হোসেন, বিএম লিপি,জয়নাল আবেদিন,রানা হামিদ, সৈয়দ আরাফাত, শাহজালাল শাওন, নকিবুল ইসলাম সুমন,শ্রবনী শায়লা, ফরিদা পারভীন, সাজিয়া সম্পা, আছমিয়া প্রমুখ।