মুহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ঢাবি : মোট বাজেটের মাত্র ১শতাংশ উচ্চশিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহের পর গবেষণা খাতে ব্যয় করার মত তেমন অর্থ থাকেনা। যার ফলে উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয় বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। ২৫ মে, শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থানের সময় এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি আয়োজিত ও রিডিং ক্লাব ট্রাস্ট টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষায় বাজেট শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সেমিনারের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
এই সময়ে অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে শিক্ষায় বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, রেল বাজেটের মতো শিক্ষা বাজেটও আলাদা করে প্রকাশ করতে হবে তাহলে শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের প্রকৃত রূপ প্রকাশ পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সঙ্গে শিল্পায়নের সরাসরি সংযোগ ঘটাতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা ছিলাম হাঙ্গার ইকোনমি। সেখান থেকে আমরা এখন ক্ষুধামুক্ত হতে পেরেছি। তাই এ যা করতে হবে সেক্ষেত্রে আমাদেরকে অতীত পটভূমি মনে রেখে করতে হবে। গত ১০-১১ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখতে হলে সামাজিক বিবর্তন দরকার।