শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০১৯, ১০:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২৬ মে, ২০১৯, ১০:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারত ছাড়তে পারবেন না কলকাতার সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা রাজীব কুমার

রাশিদ রিয়াজ : ভারতে চাঞ্চল্যকর চিটফান্ডে অভিযুক্ত আইপিএস কর্মকর্তা ও কলকাতার সাবেক নগরপাল রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে লু আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা সিবিআই। এর ফলে তিনি আর কোনোভাবেই ভারত ছেড়ে বাইরে যেতে পারবে না। ওই নোটিশের মেয়াদ এক বছর। ২০২০-র ২৩ মে পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। প্রয়োজনে তা ফের বাড়তে পারে। তদন্তের নামে সারদা কেলেঙ্কারির প্রচুর প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

শুক্রবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীন অভিবাসন দফতরের এই নোটিশ অনুযায়ী রাজীব কুমারের ভারতের যাওয়ার কোনো খবর পেলেই অভিবাসন দফতরকে তাকে আটক করতে হবে এবং সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আইপিএস কর্মকর্তা রাজীব কুমারকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তাকে আটক করতে গেলে সিবিআই কর্তাদের বাধাপ্রাপ্ত হতে হয়। তার জন্য আলোচনায় বসেছিলেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিলং-এ গিয়ে তাকে জেরা করে সিবিআই। রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও একটি নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সেই নির্দেশের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কোনও মুহূর্তেই তাকে গ্রেফতার করতে পারে সিবিআই।

সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র বলেন,‘সারদা তদন্তে যে কোনও সময় প্রয়োজনে আমরা রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে পারব, এমন অধিকারটুকু পাওয়া দরকার ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের রক্ষাকবচ সরে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়েছে। এখন আদালতের প্রক্রিয়া মেনে যা করার করা হবে। সিবিআই তাড়াহুড়ো করবো না।’ ওই মুখপাত্রের দাবি, ‘গরিব আমানতকারীদের টাকা প্রভাবশালী কয়েক জন আত্মসাৎ করেছেন। সিবিআইয়ের কাছে সেই প্রমাণ রয়েছে। সিটের সদস্যরা তাদের বাঁচাতে সক্রিয় ছিলেন কি না, সেটা সিবিআই দেখবে। কেউ ছাড়া পাবেন না।’

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজীবকে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে সিআইডি’র এডিজি পদে বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করে। এই মুহূর্তে কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসার। এর মধ্যেই সেই মন্ত্রণালয়ই তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়