ফাতেমা ইসলাম : সাভারের আশুলিয়ায় একটি প্রভাবশালী চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত হত্যা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, জমি দখল, মাদকসেবন ও ধর্ষণের মতো বিভিন্ন অপরাধ করছে গেদু বাহিনী নামে একটি অপরাধী চক্র। তাদের বাধা দিলে নানা নির্যাতনের শিকার হতে হয় বাসিন্দাদের। গেদু ও তার সহযোগীদের বিচার দাবি করেছেন তারা। অবশ্য চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরাধ চক্রের নির্যাতনের ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন ভাড়াটিয়ারা। সময় টিভি
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সাভারের আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে মো. আব্দুল আলীম যুবরাজ ওরফে গেদুরাজের নেতৃত্বাধীন একটি অপরাধ চক্র। হত্যা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, জমি দখল, মাদকসেবন এখন নিয়মিত রুটিনে পরিণত করেছে এই চক্রটি। বাড়ির মালিক থেকে শুরু করে ভাড়াটিয়া সবাই অতিষ্ঠ গেদু বাহিনীর অত্যাচারে।
অসহায় এক ভাড়াটিয়া বলেন, ঘর থেকে বের করে আমার আর আমার মেয়ের শরীরে হাত দিয়েছে। আমরা ভয়ে পালিয়ে এসেছি। আমাদের পায়নি দেখে বাড়িওয়ালাকে মেরেছে।
গেদুর অপরাধে বাধা দিলে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় স্থানীয়দের। তাকে দ্রæত আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর।
তারা বলেন, তাকে বলা ছাড়া কেউ ভাড়া তুলতে পারে না। মানুষের কাছ থেকে সব কেড়ে নিচ্ছে নির্যাতন করছে। আমরা সুবিচার চাই।
থামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাড়াটিয়ারা তো চলে যাচ্ছেই সেই সঙ্গে বাড়িওয়ালারাও তার ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে।
গেদুর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করে, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক দিপু বলেন, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। পাওয়ামাত্রই আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, থামসোনা ইউনিয়নের শ্রীপুর এলাকায় ১৯৯২ সাল থেকে গেদু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গার্মেন্টস ও পরিবহনে ডাকাতি, জমি দখল, ধর্ষণ, হত্যাসহ ২০টির অধিক মামলা হয়। এর মধ্যে বর্তমানে বিচারাধীন ১২টি মামলায় ফেরারি আসামি গেদুরাজ। সম্পাদনা : রাজু আহমেদ