শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৯, ১১:১৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ১২০তম জন্মবার্ষিকী পালিত

সমীরণ রায়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘নজরুল চেতনায় বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহকারে কবির সমাধিতে যান এবং কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনও কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নজরুলের চিন্তাকে কাজে লাগাতে হবে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর অনেক মিল ছিলো। দুজনেই বাঙালির মুক্তির জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। কাজী নজরুল ইসলাম ও বঙ্গবন্ধু দুজনেই ছিলেন পরম আশাবাদী মানুষ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতা নিয়ে এদের মত করে আর কেউ স্বপ্ন দেখেনি। সেই স্বপ্নকে কালি ও কলমের মাধ্যমে কবিতায় রূপ দিয়েছেন নজরুল, আর বঙ্গবন্ধু করেছেন বাস্তব।

পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার, সম্প্রীতির, সাম্যের ও মানবতার কবি হিসেবে আখ্যায়িত করে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, নজরুল স্বদেশের মুক্তি প্রত্যাশা করতেন। একই সঙ্গে তিনি সচেতনভাবে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সম্প্রদায় নিরপেক্ষ সম্প্রীতিও প্রত্যাশা করেছেন।

তিনি সবসময় অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও অসাম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদী ছিলেন। তাঁর লেখা গান, কবিতা, গল্প ও উপন্যাস আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল। অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত বিভাগের শিক্ষক ড. মহসিনা আক্তার খানম (লীনা তাপসী)। এছাড়াও খায়রুল আনাম শাকিলসহ বিভাগের শিক্ষার্থীরা, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, ছাত্রলীগ, বিএনপি নেতা আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিত্বরা নজরুলের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়