আব্দুর রাজ্জাক : ভেনেজুয়েলার পরতুগুয়েসা রাজ্যের একটি পুলিশ স্টেশনে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। বন্দিরা পুলিশ হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টাকালে শুরু হওয়া সংঘর্ষে আরো ১৯ জন পুলিশ আহত হয় বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়। তবে এটি একটি পরিকল্পিত ‘গণহত্যা’ বলে অভিযোগ করেছে অধিকার সংগঠনগুলো। রয়টার্স, বিবিসি
পরতুগুয়েসার আকারিগুয়া শহরে বিদ্রোহী বন্দিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময়ই হতাহতের ঘটনাটি ঘটে বলে সাংবাদিকদের জানান রাজ্যের নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সেক্রেটারি ওসকার ভালেরো। তিনি বলেন, পুলিশের ওই হাজত খানায় মোট ৩৫৫ জন বন্দিকে আটক রাখা হয়েছে। তবে, শুক্রবার তারা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ঠেকাতে চেষ্টা করে। এসময় বিদ্রোহীরা ৩টি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটালে পুলিশের ওই সদস্যরা আহত হয়।
তবে কর্তৃপক্ষের এমন বক্তব্যে জোর আপত্তি জানান ভেনেজুলেয়ার প্রিজন অবজারভেটরির কর্মকর্তা হামবার্টো প্রাডো। তিনি বলেন, ‘কিভাবে সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে? সেখানেতো কেবল মৃত বন্দিরাই ছিলো! আর পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী যদি সত্যই তাদের কাছে অস্ত্র থাকতো, তবে তা কিভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর দৃষ্টি এড়িয়ে বন্দিশালায় প্রবেশ করানো হলো?’
প্রাডো আরো বলেন, ‘বন্দিদের সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিলো। এরপর তাদের দূরবর্তী একটি কারাগারে নেয়ার কথা ছিলো যেখানে কোনো আত্মীয়-স্বজন তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, পুলিশের বন্দিশালায় সন্দেহভাজন আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আগ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। গতবছরও এই রাজ্যের ভালেন্সিয়া শহরে একটি পুলিশ স্টেশনে সংঘর্ষের সময় আগুন লাগলে ৬৮ জন নিহত হয়।