নুর নাহার : পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে শিশু থেকে পরিণত সবারই জন্যই দুধ প্রয়োজন। তবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক গবেষণায় তরল দুধের প্রায় সব নমুনায় মিলেছে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ব্যাকটেরিয়া। এতে ভোক্তাদের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন খামারিরাও। চ্যানেল ২৪
সম্প্রতি দুধে ভেজাল ও ক্ষতিকারক উপাদান নিয়ে জনমনে তৈরী হয়েছে আতঙ্ক। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষর প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাজার থেকে সংগ্রহ করা তরল দুধের ৯৬ টি নমুনার মধ্যে ৯৩ টিতেই মিলেছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ব্যাকটেরিয়া।
পরীক্ষার মান নিয়ে বিএসটিআই প্রশ্ন তুললে তাদেরকেই নমুনাগুলোর আবারো পরীক্ষা করে ২৩ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দুধের ব্যবসায়।
খামারিরা বলছেন, লোকজন আতঙ্ক হয়ে পড়েছে। তারা এখন দুধ খেতে চায়না। এখন তো খামারে গরু পালন কঠিন হয়ে গেলো। দুধের দাম কম খাদ্যের দাম বেশি। দুধে ভেজালের জন্য তো আমরা দায়ী না, দায়ী ব্যবসায়ীরা। এর দায় ভার কেনো আমরা নেবো।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন, ক্যাবের সভাপতি বলছেন, দুধে ক্ষতিকারক কোন উপাদান কি পরিমাণ মিলেছে এবং তা কতটুকু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক সেটি সুস্পষ্ট করে গবেষণায় তুলে ধরতে হবে।
বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, এটি স্পষ্ট করা দরকার প্রাকৃতিকভাবে এই উপাদানগুলো কি পরিমাণে থাকার কথা এবং কি পরিমাণে থাকলে স্বাস্থ্য ঝুকি হবে না। যদি ঢালাও ভাবে বলা হয় অনিরাপদ এতে জনসচেতনতা বাড়ছে। কিন্তু নেতিবাচক দিক হচ্ছে আমরা মাংস ও দুধ উৎপাদনে যে চেষ্টা করছি সেটি ব্যাহত হবে।