মারুফ আহমেদ : কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী এ তিন সেতুর নির্মাণ ব্যয় অনুমোদন হয় ৮ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার ল্যমাত্রা ছিলো। সেতু তিনটি নির্মাণে দায়িত্ব পাওয়া বোকা জাপানি কোম্পানিগুলি সাত মাস আগেই কাজ শেষ করে ফেলেছে। শুধু কি তাই, নির্মাণে ৭ হাজার ৭৮৬ কোটি খরচ হওয়ায় বোকা জাপানি কোম্পানিগুলো বরাদ্দ থেকে বেঁচে যাওয়া ৭০০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দিয়েছে। এক্ষেত্রে জাপানিরা বাংলাদেশের ঠিকাদারদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে বারবার বহুবার কাজ শেষ করার সময় বাড়াতে পারতো, সেই সাথে টাকা ফেরত তো দূরের কথা উল্টো প্রতিবার সময় বাড়ানোর পাশাপাশি বরাদ্দের টাকাও বহুগুণে বাড়িয়ে নিতে পারতো। প্রকল্পের সময় ও বরাদ্দ বাড়ানোর নজির বাংলাদেশে গাছের পাতার চেয়েও বেশি। জাপানিরা এই সততা জাপানেই সীমাবদ্ধ রাখলে পারতো। আমাদের দেশে বসে দেশের চলমান সিস্টেমের বাইরে কাজ করে আমাদের গালে সপাটে জুতা মেরে লজ্জা দেয়ার কী দরকার ছিলো! তোমরা বিনয়ী জাতি হয়ে এভাবে আমাদের উলঙ্গ করে দিলে?
প্রস্তাবনা : জাপানিদের এই সততার নিদর্শন হিসেবে সেতুর প্রবেশদ্বারে এমন কিছু একটা লিখে রাখা হোক যা দেখে আমাদের দুর্নীতিবাজরা লজ্জা পায়। এই সেতু প্রকল্পের সাথে জড়িত সকল জাপানিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হোক। ভুলে গেলে চলবে না যে, হলি আর্টিজানের ঘটনায় আমরা তাদের অনেক ক্ষতি করেছি। তারপরও তারা কাজ ছেড়ে যায়নি, বরং এরকম মহৎ দৃষ্টান্তের সাথে কাজ শেষ করেছে। সম্মান তারা পেতেই পারে। সূত্র : ঢাকা টাইমস