এইচ এম জামাল:ফেনী ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যার পাঁচ বছর আজ । ২০১৪ সালের এই দিনে শহরের জিএ একাডেমি এলাকায় একরামকে গাড়িতে আগুন দিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বহল আলোচিত এই নৃশংস হত্যা মামলার ১৯ আসামি পাঁচ বছরেও ধরা পড়েনি। এদের মধ্যে ১৭ জনই ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত। বাকি দু’জন সাজাপ্রাপ্ত। যদিও সাজাপ্রাপ্ত ৫৫ আসামির মধ্যে বিভিন্ন সময় পুলিশ ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে। তবে এদের মধ্যে জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছে আট আসামি। বাংলা নিউজ
একরাম হত্যার পর তার বড় ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মিনারকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কয়েকজন এ মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১৬ জন বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ ফেনীর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ৩৯ জনের ফাঁসিসহ ৫৫ জনকে সাজা দেন আদালত। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ২২ জন রয়েছেন কারাগারে। আটজন জামিনে নিয়ে পলাতক হয়েছে এবং নয়জন শুরু থেকেই পলাতক।
একরামের ভাই মোজাম্মেল হক বলেন, একরাম হত্যা মামলার ১৯ আসামি পাঁচ বছরেও ধরা পড়েনি,এদের মধ্যে ১৭ আসামিই ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত। বাকি দু’জনও সাজাপ্রাপ্ত। তিনি বলেন, ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা যেন কোনোভাবে রেহাই না পায় সেদিকে সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে। একইসঙ্গে রায় দ্রুত কার্যকর করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
ফেনী জেলা কারাগারের জেলার মো. দিদারুল আলম জানান, রায়ের পর আসামিদেও ফেনী কারাগার থেকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তবে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ফেনী কারাগারে রয়েছে আসামি নুর উদ্দিন মিয়া, আরিফ ওরফে পাঙ্কু আরিফ ও তোতা মানিক। এ তিন আসামি একাধিক মামলার আসামি হওয়ায় আদালতে হাজিরা দিতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে নেয়া হয়েছে। এছাড়া কুমিল্লা কারাগারে আছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির আদেল ও আবদুল্লাহ হিল মাহমুদ শিবলু।
আপনার মতামত লিখুন :