ফাতেমা ইসলাম : খুলনা প্লাটিনাম জুটমিলের সিবিএ সভাপতি শাহানা শারমিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, আগেও মোট তিনবার বিজেএমসি ও মন্ত্রণালয় লিখিত চুক্তি করে বকেয়া মজুরি দেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু সরকার বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি। বেতন প্রদানের সর্বশেষ তারিখ ছিলো ২৫ এপ্রিল। সেই তারিখেও দেয়া হয়নি বেতন। এরপরও আমরা ধর্মঘটে যেতে চাইনি। কিন্তু আমাদের শ্রমিকরা না খেয়ে কাজ করতে পারছে না। স্টার জুটমিলে একজন শ্রমিক অনাহারে অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হই।
তিনি বলেন, পাটকলগুলোতে লোকসানের মূল কারণ হলো সঠিক সময়ে পাট না কেনা। পর্যাপ্ত কাচাঁমালের অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিক। জুন মাসে পাটের দাম সবচেয়ে কম থাকে, তখন পাট কেনা হয়না। আর যখন পাট কেনা হয় তখন পাটের দাম অনেক বেশি থাকে।
বাংলাদেশের সরকারি জুটমিলের শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরির দাবিতে লাগাতার ধর্মঘট করছেন। দাবি আদায়ে করছেন সড়ক অবরোধ। বকেয়া পরিশোধে সরকারের কাছে সাড়ে ৩শ' কোটি টাকা চেয়েছে বিজেএমসি। বাংলাদেশ জুটমিল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) ২৭টি জুটমিলের প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিকের ১৪ সপ্তাহের অর্থাৎ সাড়ে তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে। সেই সাথে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বকেয়া আছে চার মাসের। বকেয়া মজুরির দাবিতে শ্রমিকরা আগেও কয়েক দফা আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু বকেয়া বেতন পাননি তারা৷
আপনার মতামত লিখুন :