আব্দুর রাজ্জাক : আফগানিস্তানে দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হ্রাস করার একটি পরিকল্পনা জোরদার করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এতে প্রায় ১৮ বছরের আফগান যুদ্ধ বন্ধে তালেবানের সঙ্গে চলমান শান্তিচুক্তির আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এনডিটিভি
কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের কর্মী হ্রাসের ঘোষণা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে ১ বছর আগেই দেয়া হচ্ছে। এতে বুঝা যায় তালেবানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের আলোচনার তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। পম্পেওর পরিকল্পনা অনুযায়ী মে’র শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে কর্মী প্রত্যাহার শুরু হবে।
২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনে তালেবান সরকার উৎখাতের পর দেশটিতে কূটনৈতিক কার্যক্রম বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। বিশাল আয়তনের দূতাবাস কমপ্লেক্স নির্মাণসহ অনেক অর্থ বিনিয়োগ করা হয় কাবুলের মার্কিন দূতাবাসে। ৪ বছর আগেও সেখানে ৮০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। অত্যন্ত সুরক্ষিত এই দূতাবাসে দেড় হাজার কর্মী রয়েছে এবং নতুন করে আরো ৭শ বিছানা সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, কাবুল থেকে দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা হ্রাসের পরিকল্পনাকে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি অনুযায়ী পুনরায় বিতরণকরণ হিসেবে নেয়া উচিৎ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির ফেলো থমাস লিং বলেন, পম্পেওর পরিকল্পনাকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি তার সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রতারণার অন্যতম ধাপ হিসেবে নিতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :