শিরোনাম
◈ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইনের খসড়ায় শাস্তির প্রস্তাব ◈ হামাস রাজি থাকলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিবে ইসরায়েল ◈ কুমিল্লায় বিএনপির দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২ ◈ গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল ◈ পাপুয়া নিউগিনিকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে শুভসূচনা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ◈ এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৩ জনকে বদলি ◈ `প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের পরিবর্তন আনবে' ◈ বুধবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা প্রদর্শনে যাবে বিএনপি  ◈ বিমানবন্দরে লাগেজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিলে লাখ টাকা জরিমানা ◈ বান্দরবানে বেনজীর পরিবারের একশ একর জমি, রয়েছে খামার ও মাছের প্রজেক্ট 

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:২০ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ০৩:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর রাস্তা খোলা নেই : সাখাওয়াত হোসেন

লিয়ন মীর : রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর খুব বেশি রাস্তা খোলা নেই বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকার সব পথেই সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, কিন্তু কোনো পথই সুফল বয়ে আনছে না। সব চেষ্টার ফলাফল রোহিঙ্গারা এখনো নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছে না। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামনে আর কোনো নতুন পথ আছে বলে তিনি মনে করছেন না।

বাংলাদেশের জোর কূটনৈতিক তৎপরতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ তারা নিতে পারেনি, বিদেশিদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থমুখী বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারকে তাদের দেশের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে পারেনি। আন্তর্জাতিক মহল মানবতার কথা উচ্চারণ করলেও বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের বোঝা বইতে হচ্ছে। এই বোঝা আর কতোদিন বাইতে হবে তার শেষদিন এখনো দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি মনে করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতাই রোহিঙ্গাদের

ফেরত পাঠানোর সর্বোত্তম মাধ্যম। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বন্ধুরাষ্ট্র চীনের বাধার মুখে সফল হতে পারেনি। আরেক প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতও এখানে তেমন সহযোগিতা করেনি। তবে ভারত সহযোগিতা করলেও চীন যদি না চায় তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হবে না। কেন না মিয়ানমারের উপর চীনের একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ভালো সম্পর্ক থাকলে যখন মিয়ানমারের সঙ্গে তুলনা করা হয় তখন চীনের কাছে বাংলাদেশের তুলনায় মিয়ানমারের গুরুত্ব বেশি হয়ে দাঁড়ায়। এখানে একটি অর্থনৈতিক কারণ, অন্যটি রাজনৈতিক কারণ। রাজনৈতিকভাবে মিয়ানমার হচ্ছে এ অঞ্চলে চীনের জানালা। আর অর্থনৈতিক একটা ব্যাপকতা তো রয়েছেই। তাই চীন যতোদিন না ইতিবাচক হচ্ছে, ততোদিন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়