শিরোনাম
◈ ১৫৬ উপজেলায় ভোট আজ ◈ সংসদ সদস্য আজিমের অবস্থান জেনেছে ভারত পুলিশ ◈ বিধ্বস্ত হওয়ার আগে হেলিকপ্টারে কী করছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট প্রকাশ্যে ‘শেষ’ ভিডিও ◈ সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, প্লেন চলাচলে বিঘ্ন ◈ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও হামাস প্রধানের বিরুদ্ধে আইসিসিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন ◈ নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন: মির্জা ফখরুল ◈ নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুই ওসিকে প্রত্যাহার করলো ইসি  ◈ ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক ◈ ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর শোক ◈ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০১৯, ০১:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বৃহৎ ব্যাংকগুলোর মূলধনী আইন কঠোর করছে সুইজারল্যান্ড

নূর মাজিদ : সুইস সরকারের এক পরিকল্পনার আওতায় বৃহৎ ব্যাংকগুলোকে তাদের চলতি মূলধন সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়েছে। যা কার্যকর করা হলে দেশটির ইউবিএস গ্রুপ এজি এবং ক্রেডিট সুইসের মতো বৃহৎ ব্যাংকগুলোকে আরো ২ হাজার ৪শ কোটি সুইস ফ্রাঙ্ক সার্বক্ষণিক রিজার্ভে রাখতে হবে।

সুইস অর্থমন্ত্রণালয় এই বিষয়ে একটি বাধ্যতামূলক নির্দেশনা জারি করার কথা ভাবছে। ব্যাংকিংখাতে সঞ্চয়ী মূলধনের পরিমাণ আরো বাড়াতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, আশা সরকারের।

বিশেষত, কোন সঙ্কট এড়াতে ব্যাংকিংখাতের মূল কো¤পানিগুলো এই নির্দেশনার ফলে আর্থিকভাবে আরো শক্তিশালী হবে। গত শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সুইস অর্থমন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে। ওই বিবৃতিতে, আবাসনখাতে দেয়া ঋণের সম্ভাব্য সুদের হার বৃদ্ধির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে দেশটির বৃহৎ দুটি ব্যাংকিং গ্রুপ স¤পর্কে সরকার জানায়, ‘ব্যাংকদুটিকে আরো অতিরিক্ত তহবিল সঞ্চয় করতে হবে। বিশেষ করে, আবাসনখাতে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ দেয়া হয়েছে। যা মোকাবেলায় অতিরিক্ত ২ হাজার ৪শ কোটি ডলার তহবিল বাড়াতে হবে। এই অতিরিক্ত তহবিল সংগ্রহে ব্যাংকগুলোকে নতুন ইজারা বন্ড ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়।’ এর মাধ্যমে, ব্যাংকিং ঝুঁকি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বন্টন করা যায়।

এদিকে সরকারের এই ধরণের নির্দেশনা ইউবিএস এবং ক্রেডিট সুইসের মতো মূল লগ্নিকারী সংস্থাগুলোর বাৎসরিক পুন:অর্থায়ন খরচ ১৭ কোটি ফ্রাঙ্ক বাড়াবে। বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের যে খসরা প্রস্তাব রয়েছে তা নিয়ে আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত সরকার এবং প্রধান দুটি ব্যাংকের মাঝে আলোচনা চলবে।

এই বিষয়ে গত শনিবার এক ই-মেইল বার্তায় ইউবিএস জানায়, ‘আমরা সরকারের খসরা প্রস্তাবনা বিস্তারিত পর্যালোচনা করেই একটি সার্বিক মন্তব্য করব। তবে আপাত দৃষ্টিতে এটা ¯পষ্ট যে, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিংখাতে বর্তমানে বিশ্বের সবচাইতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আইন রয়েছে।

দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থেই সুইস ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা দেয়ার সক্ষমতা রাখতে হবে। বিশেষ করে, ব্যাংকিং বাজারের সকল প্রতিযোগীর ক্ষেত্রেই এই ধরণের নিয়ম-কানুন থাকা উচিৎ, বলেই আমরা মনে করি।’

ব্লুমবার্গ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়