আল-আমিন : সালাম মুসলিম সংস্কৃতির ধারক। সালামের মাধ্যমে অভিবাদন, শিষ্টাচার ও ভদ্রতা প্রকাশ পায়। একটা ভাল ও উন্নত সংস্কৃতি গ্রহণে কোনো লজ্জা নেই। লজ্জা সেখানে, যেখানে নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখা যায় না। আমরা ধীরে ধীরে আমাদের গর্বিত সংস্কৃতি অবহেলার কারণে হারাতে বসেছি। আমরা মুসলমান জাতি হিসেবে আমাদের সর্বপ্রথম সংস্কৃতি হলো ‘সালাম’। তাই আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজীদে এরশাদ করেন- ‘তোমাদের যদি কেউ অভিবাদন (সালাম) জানায় তাহলে তোমরাও তাদের অভিবাদন জানাও।’ (সূরা নিসা : ৮৬)
অন্যান্য ধর্মে ও সকল জাতির মধ্যে অভিবাদন, সম্মান বা শ্রদ্ধা জানানোর রীতি রয়েছে। কিন্তু সকলের রীতি সমান নয়। ইংরেজ বা অন্যান্য জাতির অভিবাদনে কল্যাণ কামনা বিশেষ বিশেষ সময়ে সীমাবদ্ধ। যেমন- সকালের অভিবাদন সকালের জন্য সীমাবদ্ধ, সন্ধ্যার অভিবাদন সন্ধ্যার জন্য সীমাবদ্ধ আবার রাতের অভিবাদন রাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আবার কোনো কোনো ধর্মে অভিবাদন শুধু মাটিতে মস্তক লুটানো, মাথা ঝাঁকড়ানো বা করজোড় করা। কিন্তু আমাদের অভিবাদন তথা সালাম কোনো সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমাদের সালামের মধ্যে আছে সার্বজনিত ও সৃজনশীল ক্ষমতা। সালামের বেশ কয়েকটা বৈশিষ্ট্য আছে, তা হলো- এর মাধ্যমে মানুষের ভিতরে অহংকার ও গর্ব দূর হয়। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আগে সালাম প্রদানকারী গর্ব ও অহংকার থেকে মুক্ত।’ (বায়হাকি)
গর্ব ও অহংকার মুক্ত হলেই তো পারস্পরিক ভালবাসা সৃষ্টি হয়। আর সালামের মাধ্যমেই তা সম্ভব। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুল (স) ইরশাদ করেন, ‘পরস্পরের মধ্যে সালাম প্রচলন করবে তাহলেই তোমাদের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে।’ (সহিহ মুসলিম)