শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:৩৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০০ কোটি টাকায় সিলেটের পর্যটন মোটেল লীজ দিতে উদ্যোক্তা খুঁজছে ‘পিপিপি’

সাত্তার আজাদ, সিলেট: সিলেট চেম্বারে ট্যুরিজম সেক্টর সংক্রান্ত কর্মশালায় পর্যটন মোটেলকে আধুনিকায়ন করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে বলা হয়, পপিপি’র মাধ্যমে সিলেটের পর্যটন মোটেলকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ট্যুরিজম কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তোলা হবে। পর্যটন মোটেলের নিষ্কন্ঠক প্রায় ২৮ একর জমি রয়েছে। পিপিপি’র আওতায় বিনিয়োগকারীদের ৪৫ বছরের জন্য তা লীজ দেওয়া হবে। অন্তত একশ কোটি টাকা বিনিয়োগে সক্ষম উদ্যোক্তাদের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দরপত্র আহবান করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকারের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ও দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন পিপিপি প্রজেক্ট্স ইন ট্যুরিজম সেক্টর’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিলেট চেম্বারের কনফারেন্স হলে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত সচিব) মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সিলেট হচ্ছে ভূ স্বর্গ। দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীরা পর্যটন ক্ষেত্রে এগিয়ে আসলে পুরো সিলেটের চিত্র বদলে যাবে। সিলেটের সৌন্দর্য্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা সম্ভব হবে। সিলেটে পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগও হবে লাভজনক। এছাড়াও সিলেট পর্যটন মোটেলকে পিপিপি’র আওতায় আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে ।

কর্মশালায় পিপিপি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বলেন, এখানে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ নিরাপদ থাকবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোগিতা করবে কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে পিপিপি আইন করা হয়েছে বিনিয়োগকে সুরক্ষিত করার জন্য। পিপিপি’র আওতায় মৌলভীবাজারে অবসর নামে একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রবাসীদের আহবানেই প্রবীণদের নিরাপদ আবাসনস্থল হিসেবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মো. আবুল বাসার। কর্মশালার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের পরিচালক মিরানা মাহরুখ এবং মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের পরামর্শক মো. মোর্শেদ হায়দার।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়