জাবের হোসেন: ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড বা ডিএনএ। মানুষ কিংবা যেকোন প্রাণীর বংশগতির ধারক জিন যার গাঠনিক একক হলো ডিএনএ। মানবদেহের নানা তথ্য সংরক্ষণ থাকে এই ডিএনএতে। ৮০ দশকের পর থেকেই ডিএনএ নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু হলেও দেশে ডিএনএ প্রোফাইলিং বা বিন্যাস শুরু হয় ২০০৬ সালে।
চকবাজারের ঘটনায় যে কজনের পরিচয় এখনো মেলেনি তাদের খুঁজে বের করার একমাত্র উপায় ডিএনএ প্রোফাইলিং। যদিও আগুনে পোড়া মরদেহের বেলায় কাজটি খুবই কঠিন। তবে ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে এ কঠিন কাজটিই করে যাচ্ছেন দেশের প্রথম নারী ডিএনএ বিশ্লেষক নুসরাত ইয়াসমিন।
তিনি পাঁচ বছরের পেশাজীবনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বিশ্বের নানা দেশে। তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর প্রশিক্ষণ মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে তার জীবনের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেওয়া নুসরাত ইয়াসমিন সংসারে তেমন একটা সময় দিতে না পারলেও তাতে কষ্ট নেই তার। কেননা কাজ করছেন দেশের মানুষের জন্য।
চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরকে নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলে ডিএনএ পাওয়া যায় না। কিন্তু পোড়ার পরে যদি কিছু অংশ থাকে সেটা থেকে সনাক্ত করা সম্ভব। আগুনে পোড়াটা হচ্ছে কেমিকেল প্রতিক্রিয়া সুতরাং যে কোন কেমিকেল প্রতিক্রিয়াই বায়োলজিক্যাল নমুনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এই কারণে ডিএনএ নমুনা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এ যখন ছিলাম, তখন আমাকে ডিএনএ ডাটা সংগ্রহের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো। সেটার জন্য আমর যে পড়াশোনার থ্রিয়োরি ছিলো সেগুলো এখন আমাকে অনেক সাহায্য করছে। যার ফলে কাজটা করছি ভালোভাবে। এখানে আমরা দিনরাত কাজ করছি। গত দুইদিন ভালোভাবে ঘুমাতেও পারিনি। তবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি সেটা ভেবে মনে শান্তি পাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :