জুয়েল খান : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. জিনাত হুদা বলেছেন, আমাদের সমাজে ধর্মীয় বেড়াজাল থাকা সত্ত্বেও মেয়েরা যেভাবে কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে অগ্রসর হচ্ছে, তাতে প্রমাণ হয় মেয়েরা সমাজের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকলেও এখন উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা কমেছে আর এর কারণ হচ্ছে উচ্চ শিক্ষায় যারা যায় তারা অত্যন্ত মেধাবী, কিন্তু আমাদের সমাজ এখনো সেই জায়গায় পৌঁছতে পারেনি। বিশেষ করে প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়েরা শিক্ষার জন্য বিশেষ ধরনের সুযোগ- সুবিধা পায়। বিনামূল্যে বই, উপবৃত্তি এবং বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণের সুবিধার কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় সময় অনেক মেয়ে ঝরে পড়ছে। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার জন্য সকল প্রকার খরচ বহন করার মানসিকতা এখনো আমাদের সমাজের মানুষের তৈরি হয়নি বা নারীদের দেয়ার মতো পর্যায়ে আমাদের সমাজ পৌঁছতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পরে বিয়ে দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যার ফলে নারীরা উচ্চ শিক্ষায় কিছুটা পিছিয়ে আছে ছেলেদের তুলনায়। তবে বিয়ে না দিলেই যে মেয়েরা সবাই উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ^বিদ্যালয়ে যেতে পারতো আমি এমনটা মনে করি না। মাধ্যমিকের সাথে কখনও উচ্চ মাধ্যমিকের তুলনা করা করা যায় না। তিনি জানান, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে, তবে এখনও নারীদের জন্য নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ আমাদের সমাজ তৈরি করতে পারেনি। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কর্মক্ষেত্রে তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে তবে তুলনামূলক অংশীদারিত্ব বাড়েনি।