ফাহিম বিজয় : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ৬৪ জেলা থেকে একজন করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কেউ যদি বলে নির্বাচনের আগের রাতে ত্রিশভাগ ভোট হয়ে গেছে, তাহলে এর প্রমাণটি কী? প্রমাণ হলো, কেউ তো বলবে না যে, হ্যাঁ, নির্বাচনের আগে ত্রিশভাগ ভোট হয়ে গেছে। কোনো এজেন্সি বা কোনো ব্যক্তি এটির সঙ্গে জড়িত। কোর্টকে তখন বলা যাবে যে, প্রমাণটি কী? কোর্ট যেকোনো প্রমাণ, যে কারো কাছে যেকোনো সময় চাইতে পারেন। এই প্রমাণ নির্বাচনী ফলাফলের ৪৫ দিনের মধ্যে চাইতে পারেন। ডিবিসির একটি টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সাবেক নির্বাচন কমিশনার বি জে (অব) ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল কতোটা ইফেক্টিভ হতে পারে, এটি নির্ভর করে আসলে ট্রাইব্যুনালে কী আছে তার ওপর। একটি প্রতিষ্ঠান যদি শক্তভিতে গড়ে উঠতে না পারে, তাহলে ট্রাইব্যুনালে যাকেই বসান না কেন তিনি দক্ষভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না।
কাজেই প্রতিষ্ঠান যেমন প্রয়োজন, তেমনি লোকেরও প্রয়োজন। ইলেকশন করাপশন কোন ক্রিমিনাল করাপশন নয়। কিন্তু এর শাস্তিটা অনেক বড়ো। প্রমাণ হলে আপনি সাত বছরের জন্য জেলে যেতে পারেন এবং আগামী পাঁচ বছর আপনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ট্রাইব্যুনাল কোনো কাজ করে না। ১৯৭১ সালে ইন্দ্রিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে জয় প্রকাশ হেরে গিয়েছিলেন। ইয়াশপাল কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন, তার নেতৃত্বে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী বানিয়ে দিয়েছিলেন। প্রশাসন সরাসরি একজন প্রার্থীকে সাহায্য করেছিলো। হাইকোর্টে এই মামলাটি চার বছর থাকে। ১৯৭৫ সালে হাইকোর্ট সেই প্রার্থীকে বলেন, আপনি অন্যায় করেছেন, তাই আপনার নির্বাচন বাতিল। তাকে পরবর্তী ছয় বছরের জন্য নির্বাচন থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হলো। সুপ্রিমকোর্টে যখন এর বিরুদ্ধে আপিল করা হলো, সুপ্রিমকোর্ট তখন হাইকোর্টের রায়কে বৈধ করে তার ভোটের অধিকারও কেড়ে নিয়েছেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান