সমীরণ রায় : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল একটি আদর্শ জোট। ১৪ দল সব বিভ্রান্তি কাটিয়ে এখনো অটল ও ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তাই বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে ১৪ দল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই-সংগ্রাম করবে।
বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তিনটি লক্ষ্যে কাজ করবে ১৪ দল। ১৪ দল শেখ হাসিনা সরকারকে চোখের মণির মতো রক্ষা করবে। সরকারের ভুল-ত্রু টি বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরবে। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে অতীতের মতো সোচ্চার থাকবে।
তিনি বলেন, ১৪ দল কোনো পদ-পদবীর জন্য গঠিত হয়নি। এটি একটি আদর্শিক জোট। শোষণ মুক্ত দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাবে ১৪ দল। দুঃসময়ে ১৪ দল শেখ হাসিনা সঙ্গে ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা দেশে-বিদেশে নানাভাবে নির্বাচনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আগের মতই ১৪ দল প্রস্তুত থাকবে। তাদেরকে অনুরোধ করবো সংসদ আসুন। সংসদ বর্জন ও জ্বালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি থেকে বেড় হয়ে আসুন।
বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি আদালতে বিষয় উলেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হুমকি-ধমকি দিয়ে তাকে (বেগম খালেদা জিয়া) মুক্ত করা যাবে না। খালেদা জিয়া এখন আর রাজনীতিবিদ নয়, তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মাত্র। বিএনপি ক্ষমতা থাকতে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সভা-সমাবেশ করতে না দিয়ে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিলো। তাদের সময়ে দেশে নৈরাজ্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাসহ যা করেছে দেশবাসি তা ভুলেনি। বিএনপি সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৪ দল যে লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, সেই লক্ষ্য এখনো শেষ হয়নি। ১০ বছরে পরাজিত শক্তি এখনো সঠিকপথে আসেনি। নির্বাচনে তারা কোনঠাসা হলেও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা পুর্ণ:নির্বাচনের নামে নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছে। তারা যতক্ষণ মাপ না চাইবে ততক্ষণ ক্ষমা পাবে না।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বাক ড.ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাসদ আহ্বাক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।