কামরুল হাসান : একে বসন্তের ছোঁয়া-ফাল্গুনের উতাল বাতাস, তার ওপর দুয়ারে দাঁড়িয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বইমেলার ১২তম দিনে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের মনে যেনো বইছে দখিনা হাওয়া। তাই দেখা মিললো অন্যান্য দিনের থেকে বেশি দর্শনার্থীর। এদের অনেকেই গতকাল মেলায় এসেছে প্রিয় মানুষটিকে উপহার দেয়ার জন্য তার পছন্দের বইটি কিনতে। অন্যের প্রতি ভালোবাসা জানাবেন পরস্পরকে বই উপহার দেয়ার মাধ্যমে। এ যেনো বই-বসন্তে ভালোবাসার আবাহন তৈরির প্রয়াস।
বসন্তকে সামনে রেখে বইমেলায়ও বইছে বাসন্তী হাওয়া। এখন পর্যন্ত বিক্রি খারাপ না। গতকাল তাদের বই বিক্রির দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলো উপন্যাস ও প্রেমের কবিতার বই। বিক্রেতারা বলছেন, গত এগারো দিনের থেকে বিক্রি ভালো এবং সন্ধার পরে বিক্রি আরো বাড়বে।
বাংলা একাডেমির তথ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বইমেলার ১২তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৪৯টি এর মধ্যে গল্প ২৭, উপন্যাস ২৫, প্রবন্ধ-৬,কবিতা-৪৪, গবেষণা-২, ছড়া-৪, শিশুসাহিত্য-১, জীবনী -৪, মুক্তিযুদ্ধ-৪, বিজ্ঞান-৬, ভ্রমণ-৫, ইতিহাস-১, রাজনীতি-৪, চি:/স্বাস্থ্যা-১, অনুবাদ-১, সায়েন্স ফিকশন-১ ও অন্যান্য-১৩ মোট ১৪৯। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মেলায় ১৬৮০টি বই এসেছে।
গতকাল মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কবি-অনুবাদক মনিরউদ্দিন ইউসুফ : জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন হাসান হাফিজ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শফিউল আলম, রেজাউদ্দিন স্টালিন ও মোহাম্মদ আবদুল হাই। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ বলেন, মনিরউদ্দীন ইউসুফ একজন বিস্মৃত মনীষা। বাংলা একাডেমি তাঁর অনুবাদে ছয় খণ্ডে শাহনামা প্রকাশ করছে যা দেশে ও বিদেশে বিপুলভাবে আদৃত হয়েছে। জন্মশতবর্ষে তাঁকে নিয়ে এ স্মরণ-আয়োজন মূলত তাঁর অসামান্য কৃতির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার নিদর্শন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ ও সন্ধার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপোভোগ করেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা।