যুগান্তর : একাদশ জাতীয় সংসদে প্রথম বিরোধী দলের আসনে বসলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর কয়েক দিন বিশ্রাম নিয়ে রোববার বিকাল ৪টা ৫৩ মিনিটে অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করে নিজ আসনে বসেন তিনি। ১৫ মিনিট অবস্থান শেষে চলে যান। এর আগে গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বেঁচে আছি।’
এর আগে বিকালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার অফিসে যান, পরে সেখান থেকে সংসদ লবিতে যান। সেখান থেকে বিরোধীদলীয় উপনেতা তার ছোট ভাই জিএম কাদের এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা তাকে অধিবেশন কক্ষে নিয়ে এসে বিরোধী দলের নেতার আসনে বসান। হেঁটেই বিরোধীদলীয় নেতার আসন গ্রহণ করেন তিনি।
সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের নেতা কালো সাফারি পরে প্রবেশ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ গঠনের পর প্রথম অধিবেশনে যোগ দিলেন তিনি। এর আগে অসুস্থতার কারণে অন্য সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শপথ নিতে পারেননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। পরে সংসদে স্পিকারের কার্যালয়ে এসে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ এদিন সংসদে যাননি। এরশাদের বাম পাশের আসনটিতেই রওশন বসেন। এরশাদ যতক্ষণ অধিবেশন কক্ষে ছিলেন ততক্ষণই রওশনের চেয়ারে বসে এরশাদের সঙ্গে কথা বলেন জিএম কাদের।
এ সময় এরশাদকে বেশ হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। পুরো অধিবেশন কক্ষের দিকে তাকিয়ে এবারের সংসদে কে কোথায় বসেছেন তা মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে দেখা যায় এরশাদকে।
অধিবেশন চলার ফাঁকে সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এসে একবার এরশাদের পাশে বসেন, তার কুশল জানতে চান। ১৫ মিনিট অবস্থানের পর লিফটে গিয়ে গাড়িতে উঠেন এরশাদ। জিএম কাদের, মশিউর রহমান রাঙ্গা, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহসহ জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা এসময় এরশাদের সঙ্গে ছিলেন।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজ এলাকা রংপুর-৩ (সদর) আসন থেকে নির্বাচিত হন। ৪ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসা শেষে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন।