ইমরান মিয়া : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সারাদেশে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়েছে। কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত সবখানেই এখন আলোচনা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে। এরইমধ্যে তৃণমূল নেতাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় তিনজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগ। সূত্র: জাগো নিউজ
গেল ২৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয়জনের মধ্যে থেকে তিনজনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ও সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
তবে ভোটে দ্বিতীয় হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজুর রহমানের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতাদের ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। তিনজন প্রার্থীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আসার পর ফিরোজুর রহমান এবার দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ভোটার জানান, শহরের কোর্ট রোডের একটি হোটেলে তাকে খবর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ফিরোজুর রহমানের আত্মীয়স্বজন জোর করে টাকা ভর্তি একটি খাম তার পকেটে ঢুকিয়ে দেন। অবশ্য তিনি সেই খাম ফিরিয়ে দেন। এরপর ভোটের কিছু সময় আগে শহরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল মাঠে ফিরোজুর রহমান নিজেই ভোটারদের টাকার প্রস্তাব দেন বলেও জানান তিনি।
আরেক ভোটার জানান, টাকার খাম রেডি আছে জানিয়ে ভোটারদের শহরের কোর্ট রোডের একটি প্রাইভেট ব্যাংকের দিকে ঠেলে পাঠান ফিরোজুর রহমান। ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে একেকটি ভোট কেনেন তিনি।
তবে টাকা দিয়ে তৃণমূলের ভোট কেনার অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে ফিরোজুর রহমান বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কিনব কেন? ভোট কিনলে কি আর মান-ইজ্জত থাকবে? সবাই ধরেছে বলে প্রার্থী হয়েছি। না হলে আমি উপজেলায় যেতামই না।