তরিকুল ইসলাম সুমন : আরব বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬৫ কোটি টাকা সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে সিঙ্গাপুর ও কানাডায় পাচার হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে এ সত্যতা পাওয়ার পর সেই অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিআইএফইউ) সহায়তা চেয়ে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সিঙ্গাপুর ও কানাডা থেকে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে। সর্বশেষ ২৪ অক্টোবর দুদকের পরিচালক ও মামলার তদারককারী সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা ওই চিঠি বিআইএফইউর মহাব্যবস্থাপক বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো: গুলশান আনোয়ার প্রধানের কাছে তথ্য সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
চিঠিতে সিংগাপুরস্থ পিনাকল গ্লোবাল ফান্ড (পিজিএফ) নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এবি ব্যাংকের মধ্যে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর সম্পাদিত চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দুই ব্যক্তি যাদের পাসর্পোট নম্বর: এজিবিআর ৭৬১০৫৭৪৮৪ ও বিএ-৩৬৭৭৯০ এবং সাক্ষী আব্দুস সামাদ খানের পাসর্পোট নম্বর: বিএ-৩৭৮৪৯৭ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি ও রেকর্ডপত্রাদি, এই কোম্পানির পরিচালকদের বিস্তারিত তথ্য, ব্যাংক ট্রানজেকশন, মেমোরেন্ডাম, আর্টিক্যাল অব এসোসিয়েশন, নিবন্ধন সনদ, ক্রেডিট রির্পোট ও বিজনেস প্রোফাইল এবং কোম্পানি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে। কোম্পানির পরিচালকদের নামীয় ব্যাংক হিসাব বিবরণী। দুবাইস্থ এডিসিবি ব্যাংকের চেং বাও জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি কোম্পানির সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন, কোম্পানির শেয়ারধারী পরিচালকদের বিস্তারিত তথ্যাদিও জানাতে বলা হয়েছে।
ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের নামে ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ পাচারের ওই ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। মামলা দায়ের করার পর এম ওয়াহিদুল হকসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে দুদক। ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ছাড়া বাকি আসামিরা জামিনে আছেন।
আপনার মতামত লিখুন :