এইচএম দেলোয়ার: অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১/২-এর সামনে উত্তর-দক্ষিণ টেক্সিওয়েতে ওঠার সড়ক এবং খোলা কার পার্কিংয়ে খানাখন্দে ভরা। সড়কে পিচঢালা কার্পেটিং ওঠে রড বের হয়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনে সড়কে হাটু পানি জমে যায়- মনে হয় শাহজালালে ৮৮’র বন্যা হয়েছে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও দেখার কেউ নেই। সিভিল এভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ‘কম্ভুকর্ন’। গত ২৪ অক্টোবর সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে এবং ‘একুশে বার্তা’র ক্যামেরায় তা বন্দি করা হয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনে ও প্রবেশপথে সড়কে এ বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে দৃশ্যমান থাকায় বিদেশিদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। অথচ সিভিল এভিয়েশন তা গা করছে না। সিডি-১ এর সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ‘ডেমকেয়ার’। এসব সড়কে কাজের কার্যাদেশ হলেও কাজ করাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এতে সরকারের বারোটা বাজার উপক্রম হচ্ছে।
জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বিএনপি কানেকটেট, ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রদল করতেন বলে ঠিকাদারদের বলাবলি করতে শোনা গেছে। তবে ঠিকাদারদের মুখ থেকে এটাও শোনা গেছে যে, তিনি খুব দক্ষ প্রকৌশলী।
শাহজালালে একাধিক ব্যক্তি এবং কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা গেছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের সামনের সড়কে প্রায় সারা বছরই খাদাখন্দে ভরা থাকে, সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়, তখান জুতা হাতে নিয়ে প্যান্ট কুচিয়ে সড়কের পাশের ফুটপাত ধরে গোলচত্তরে যাতায়াত করতে হয়। সকালে সড়কে কার্পেটিং করলে শত শত গাড়ি চলাচলে তা বিকালে ওঠে যায়, কয়েকদিন, কয়েকমাস পর সড়ক যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই চলে যায়। অথচ স্থায়ীভাবে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এ সড়কের সংস্কার করছে না। এ সড়ক মেরামতের নামে জোরাতালি দিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করার নামে আত্মসাত করছে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সিভিল এভিয়েশনের এটা টেকনিক, এ সড়ক মেরামতের নামে ঠিকাদার- প্রকৌশলী মিলে কোটি কোটি টাকার ভাগবাটোয়ারা চলছে। অথচ জনগণের ভোগান্তি কমছে না। একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে সড়কের এ বেহাল দশায় আমাদের ইমেজ বিদেশে ক্ষুন্ন হচ্ছে।
একজন ঠিকাদার জানান, শাহজালালের সামনে সড়কের সংস্কারের জন্য কাজের টেন্ডার, কার্যাদেশ হলেও কাজ করাচ্ছে না সিএএবি কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কথা বলতে সিডি-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে গত ২৪ অক্টোবর তার অফিসে গিয়েও তাকে তার কক্ষে না পেয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। ততা¡বধায়ক প্রকৌশলী একেএম মাকসুদুল ইসলামকেও তার অফিসকক্ষে না পেয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :