আশিক রহমান : দেশে দারিদ্রবিমোচন বাড়লে, কমবে ধনী-দরিদ্রের মধ্যেকার বৈষম্য এমনই অভিমত রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন অফিসিয়ালি ২১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। কিন্তু অন্য হিসেব বলে প্রায় ২২-২৩ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের সংখ্যা। দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা ৪০ শতাংশ মানুষকে আমরা ২২ শতাংশে নামিয়ে এনেছি যেভাবে, ঠিক সেভাবে ২২ থেকে ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারি তাহলে ধনী-দরিদ্রের মধ্যেকার বৈষম্য অনেকটাই কমে আসবে। নিচের দিকের মানুষগুলো তখন ওপরের উঠে আসবে। তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ অনেক ধনী হবে, এটা বাস্তবতা। সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গেলে তা থাকবে না। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বাইরের যেকোনো অর্থনীতিতেই কিছু মানুষ ধনী থাকবে। কীভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব বৈষম্য? ইংল্যান্ডে যান, দেশটি সামাজিক নিরাপত্তা বলয় দিয়ে ধনী-গরিবের মধ্যেকার বৈষম্য একটা সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে। আমাদেরকেও বৈষম্য সহনীয় পর্যায়ের রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. আহমদ আল কবির বলেন, দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈষম্য কমিয়ে আনা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যত দ্রুত উন্নয়ন, ততই চ্যালেঞ্জ ধনী-গরিবের মধ্যে কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার এ ব্যাপারে অনেক সতর্ক ও সচেতন। ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করেছে। যা দুনিয়ার কোথাও আর নেই। ২২ শতাংশ মানুষ এখন সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাভুক্ত। গরিব মানুষকে ওপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যা সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালেয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া কিংবা থাইল্যান্ডও পারেনি। তবে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। সম্ভব হলে ২২ শতাংশেরও বেশিসংখ্যক মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা সরকার ভেবে দেখতে পারে।