ডেস্ক রিপোর্ট: জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ট্রমি’র আঘাতে কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যে এটি দেশটির সব অঞ্চলেই আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ‘দ্য জাপান টাইমস’ জানায়, ওকিনাওয়া’তে ঘূর্ণিঝড়-সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছে। তবে আহতদের কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, ওকিনাওয়ার রাজধানী নাহার একটি রাস্তার পাশের গাছের ডাল ভেঙে পড়ে সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বড় বড় ঢেউ পাশের একটি দ্বীপের বাঁধে আছড়ে পড়ছে।
দেশটির ন্যাশনাল পাবলিক ব্রডকাস্টিং অর্গানাইজেশন ‘এনএইচকে’ জানিয়েছে, ট্রমি কবলিত ছয় শতাধিক মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে ওকিনাওয়ার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া এখনাকার এক লাখ ২১ হাজার বসতবাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে শনিবার ওকিনাওয়া ও কাগোশিমার বিমানবন্দরগুলো ৪১০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এতে ৩৯ হাজারেরও বেশি যাত্রী বিপাকে পড়েছে।
ওকিনাওয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের এক কর্মকর্তা মোতোকি মিনেই বলেন, আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ আমরা এখনও তথ্য সংগ্রহ করছি। এখানকার মানুষ ঘূর্ণিঝড়ে অভ্যস্ত। তবু তাদেরকে আমরা সতর্ক থাকতে বলছি।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার বিকেল তিনটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি এর কেন্দ্রে ৯৫০ হেক্টোপ্যাসকেল বায়ুমণ্ডলীয় চাপ নিয়ে নাহার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছিল। রোববারের শুরুতে ঘণ্টায় ২১৬ কিলোমিটার গতি নিয়ে এটি দেশটির মূল অংশে আঘাত করবে।
তীব্র গতির বায়ুপ্রবাহ, উত্তাল ঢেউ এবং প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা জানিয়ে সব জাপানিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দপ্তরের কর্মকর্তা ইয়াসুশি কাজিওয়ারা সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় দেশের বড় বড় অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত এবং তীব্র গতির বায়ুপ্রবাহ বয়ে আনবে। দয়া করে সতর্ক থাকুন, দ্রুত নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
এদিকে ওয়েস্ট জাপান রেলওয়ে জানিয়েছে, রোববার রাত একটা পর্যন্ত হিরোশিমা ও শিন-ওসাকা’য় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ ট্রমি এই এলাকাতে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র: আরটিভি
আপনার মতামত লিখুন :