শিরোনাম
◈ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সফরে ◈ সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি ◈ ঢাকার ২৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় পুলিশ সদস্যদের জন্য মূল্য ছাড়  ◈ বনানীর আগে বাসে যাত্রী তুললেই মামলা: ডিএমপি কমিশনার ◈ লু’র সফরকে কেন্দ্র করে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন: রিজভী ◈ ‘জেনোসাইড জো’: যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ বাইডেনের পুনর্নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে ◈ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি ◈ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাবেক বাপেক্স এমডির সাক্ষ্য ◈ তাসকিনকে সহ অধিনায়ক করে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩২ সকাল
আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিশরে হেরেম ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যিনি ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন!

ডেস্ক রিপোর্ট : মিশরে হুদা শারাওয়ি নামে একজন নারী সেখানকার হেরেম ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু একটা সময় পর্যন্ত নারী হিসেবে সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য নিজের প্রতি তার বিতৃষ্ণা জন্মেছিল। প্রচলিত ব্যবস্থা মাথায় ঘোমটা পরার যে রীতি ছিল সেটা তিনি পরিত্যাগ করেছিলেন এমনকি মেয়েদের শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

বিবিসি আফ্রিকা সার্ভিসের ‘আফ্রিকান উইমেন হু চেঞ্জজড দ্যা ওয়ার্ল্ড’ সিরিজে উঠে এসেছে হুদা শারাওয়ি’র কথা।

হুদা শারাওয়ি জন্মেছিলেন ১৮৭৯ সালে। মিশরে তখন হেরেম ব্যবস্থা প্রচলন ছিল। সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি কায়রোর একটি রেল স্টেশনে মাথা ঢাকা স্কার্ফ ছুড়ে ফেলে দেন। এবং অন্য মেয়েদের উৎসাহিত করে বলেন ‘আমার সঙ্গে যোগ দাও’। এটাই ছিল মিশরে প্রথমে ঘোমটা বা মাথা ঢেকে রাখার রীতির বিরুদ্ধে প্রথম প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান। এই ঘটনার পর অনেক নারী উৎসাহিত হলেন এবং তারাও মাথা ঢাকা বন্ধ করে দিলেন।

হেরেম ছিল সম্পূর্ণ আলাদা একটা স্থান। যেখানে মেয়ে এবং পুরুষদেরকে পৃথক করেছিল। সেসময় বেশির ভাগ মেয়েদেরকে স্কুলে গিয়ে শিক্ষা নেয়াটা ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু হুদা নিজেকে শিক্ষিত করতে পেরেছিলেন, কারণ তার পরিবারের সেই অর্থ-বিত্ত ছিল। তবে কাজটা সহজ ছিল না। যখন তার ভাইয়েরা সহজেই স্কুলে যেতো তখন রীতিমত তাকে সংগ্রাম করতে হতো এই নিয়ে। হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। হুদা বলেছিলেন ‘আমি হতাশ হয়ে পরেছিলাম। আমি পড়াশোনায় মন দিতে পারছিলাম না। আমি একজন নারী হয়ে জন্ম নেয়ার জন্য নিজের প্রতিই নিজের ঘৃণা জন্মাচ্ছিল। কারণ এটা আমাকে শিক্ষা এবং সবকিছু থেকে বঞ্চিত করছিল।

১৩ বছর বয়সে হুদাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় তারই চাচাতে ভাইয়ের কাছে। যিনি ছিলেন হুদার চেয়ে ৪০ বছর বড়। তিনি বলেছিলেন, তার আর কিছু করার ছিল না। হয় বিয়েতে রাজী হতে হত নাহলে সেটা হত তার পরিবারের জন্য চরম অপমানজনক। হুদা বলেছেন ‘আমার মনে হচ্ছিল আমার এই কষ্ট আমি চেপে রাখবো না আমি একটা বিপ্লব করবো’। পরিণত বয়সে পৌছে তিনি আরো নারীদের একত্রিত করলেন। প্রকাশ্যে নিয়ে এসে তাদের সামনে তিনি বক্তব্য রাখলেন। তার সবচেয়ে বড় সফলতা আসলো ১৯২৩ সালে।

হুদা মেয়েদের জন্য একটা স্কুল তৈরি করলেন। এবং মিশরের ফেমিনিস্ট ইউনিয়ন গড়ে তুললেন। তিনি মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ করার জন্য আন্দোলন করেন দীর্ঘদিন এবং একসময় সফল হন।

হুদা মারা যান ১৯৪৭ সালে। তিনি সারাজীবন নারী এবং শিশুদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। বিবিসির আফ্রিকান সার্ভিস এই প্রতিবেদন তৈরির জন্য ইতিহাস এবং বিভিন্ন গবেষণা ধর্মী বই এর সহায়তা নিয়েছে। সূত্র : বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়