সাজিয়া আক্তার : একজন বাচ্চা প্রসব করা মহিলাদের ক্ষেত্রে ক্লিনিক কিংবা হাসাপাতালে গেলে সিজারই যেন তাদের একমাত্র উপায় করে দেন ডাক্তাররা। যেখানে ডাক্তাররা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো সিজার ছাড়াই বাচ্ছা প্রসব করাতে পারেন সেই প্রক্রিয়া অবলম্বন না করেই তারা যান সিজারিয়ান পদ্ধতিতে। প্রতি মিনিটে জন্ম নিচ্ছে ৪ টি শিশু, এই হিসেবে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার ৭০৭ জন এবং প্রতিবছর প্রায় ২১ লাখ শিশুর জন্ম হচ্ছে।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেলথ সালভের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩৭ ভাগ প্রসব হয়ে থাকে হাসপাতালে। আর হাসপাতাল বা ক্লিনিকের ১০ টি শিশুর ৬ টির জন্ম হচ্ছে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে। এক্ষেত্রে ৮০ ভাগ অস্ত্র প্রচার হচ্ছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ক্লিনিকে।
সিজারিয়ান পদ্ধতির ব্যবহার বেশি হওয়ায় কারণ হিসেবে বেসরকারি ক্লিনিক গুলো ব্যবসায়ীক মনোবৃত্তি। সরকারের সঠিক মনিটরিং না থাকা এবং মানুষের অসচেতনাকে দায়ি করছেন চিকিৎসকরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল বলেন, কোনো ক্লিনিকে অপরেশন হলে তার সাথে জড়িত থাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। পরিবার থেকে চাপ থাকে অনেকক্ষণ ব্যাথা আছে, সেখানে কোনো অসুবিধা হবে কিনা। সেটা পর্যবেক্ষণ করার মত দক্ষ জনবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠিক রাখতে পারবে কিনা সে নিয়ে সন্দেহ আছে। চিকিৎসক এবং রোগীর পক্ষ থেকে কেউ ঝুঁকি নিতে চায় না।
সিজারিয়ান পদ্ধতিতে জন্মদানে মা ও শিশুর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফাতেমা আশরাফ বলেন, কিছু অর্গান ক্ষতি হতে পারে, স্যালাইন লাগতে পারে, রক্ত দেওয়া লাগে, সেগুলোর সংকট দেখা দিতে পারে। যেখানে সেলাই হয়েছে সেখানে গর্ভফুলটা লেগে থাকছে, তার ফলে মাকে মৃত্যুর হাত থেকে ছিনিয়ে আনা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিজারিয়ান অপরেশনের হার হতে হবে সর্বমোট প্রসবের ১০ থেকে ১৫ ভাগ।
আপনার মতামত লিখুন :