শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০১৮, ০৪:০৭ সকাল
আপডেট : ৩০ জুন, ২০১৮, ০৪:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তরুণের পেট থেকে বের করা হলো দুই কেজি সিমেন্ট

মাহাদী আহমেদ : বাবার কথাতে রাগ করে অনেক ছেলে-মেয়ে খাওয়া-ধাওয়া বন্ধ করে দেন। অনেকে খুব বেশি অভিমান করে বিষ বা কীটনাশট খেয়ে বা অন্য উপায়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাগ করে কেউ কখনো গোলা সিমেন্ট খেয়েছেন, তা কি শুনেছেন? হ্যা, এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়খণ্ডে এমন ঘটনাই ঘটেছে। বাবার সঙ্গে রাগ করে তরুণ ছেলে খেয়েছেন সিমেন্ট।

ঘটনার পাঁচ দিন পর, বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুরে দেড় ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে ওই ছেলের পাকস্থলী থেকে প্রায় দু’কিলোগ্রাম ওজনের জমা সিমেন্ট বের করেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা।

হাসপাতাল সুপার উৎপল বলেন, ‘চুল খাওয়া, মাটি খাওয়ার রোগী দেখেছি। কিন্তু গোলা সিমেন্ট খাওয়ার ঘটনা কখনও শুনিনি। শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা নথি খুঁজেও ওই রকম রোগীর সন্ধান পাননি!’

অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রোগীর অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। এ ধরণের রোগী আগে পাওয়া যায়নি বলে বাস্তবিক ভাবে অস্ত্রোপচার কঠিন ছিল।
পাকস্থলীর ভেতর জমাট সিমেন্ট কী অবস্থায় রয়েছে বারবার দেখার পর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’ হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯ বছরের যুবক বিকাশ পালের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়খ-ের পাকুড় জেলার পশ্চিম মহেশডাঙা গ্রামের বাবুদহে।

শনিবার সকালে বাবার সঙ্গে ঝগড়ার পরে বাড়ির উঠোনে বালতিতে রাখা গোলা সিমেন্ট পরপর কয়েক গ্লাস খেয়ে নেন ওই যুবক। কিছুক্ষণ পর থেকেই পেট ব্যথা ও শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়।

বিকাশের বাবা ধীরেনবাবু ভাস্কর্য শিল্পী। বিকাশও বাবার সঙ্গে ওই কাজ করেন। কিন্তু শনিবার বিকাশ কাজ করতে নিমরাজি থাকায় ধীরেনবাবু ভর্ৎসনা করেন তাকে। তারপরেই গোলা সিমেন্ট খেয়ে নেয় বিকাশ। রেখাদেবী বলেন, ‘একের পর এক হাসপাতাল আমাদের অন্যত্র পাঠানোয় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’

পরিবারের দাবি, বিকাশকে প্রথমে বীরভূমের মুরারই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, রোগীর অবস্থা ভালো নয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। রোববারই বিকাশকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তথা অধ্যাপক স্নেহাংশু পানের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করানো হয়।
স্নেহাংশু পান বলেন, ভর্তি করার পর নানা পরীক্ষা করে দেখা যায়, অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনো উপায় নেই। অস্ত্রোপচারের পর ভালো আছেন বিকাশ। সূত্র : আনন্দবাজার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়