সাজিয়া আক্তার: মেট্রোরেল প্রকল্প অপরিকল্পিত ঢাকা শহরকে ঢেলে সাজানোর সুযোগ এনে দিয়েছে বলে মনে করছেন প্রকৌশলীরা। বড় অঙ্কের এই বিনিয়োগ থেকে সর্বোচ্চ নাগরিক সুবিধা পেতে মহানগরীর জমি ব্যবস্থাপনার উপর জোর দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রী জোর দিতে চান নাগরিক সুবিধা বিকেন্দ্রিকরণের উপর।
অপরিকল্পিত বাড়িঘর আর সরু রাস্তা, যানজট আর আইন মানার সংস্কৃতি এই হল ঢাকা নগরীর নিত্য দিনের চিত্র। মেট্রোরেলের হাত ধরে বছরের পর বছর চলে আসা অনিয়মের চিত্রে আসতে পারে পরিবর্তন। তার জন্য বদলাতে হবে নিয়ম না মানার সংস্কৃতি।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থানা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল ট্রেডিশনাল ট্রেনের মতো হবে না, এটা পরিপূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে।
মেট্রোরেলে নগরবাসীকে অভ্যস্ত করতে ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন মেট্রোরেল থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে এর কাছাকাছি বড় আবাসন গড়ে তুলতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল হক বলেন, এতে যানজট হবে না, ভূমি উন্নয়নে এখন যে এলোমেলো হচ্ছে তা না করে সোজা স্টেশনের পাশে নিয়ে এসে মানুষের গাড়ির যে চাহিদা সেটা সম্পূর্ণ ভাবে সরিয়ে দেয়। তখনই বলা হয় একটা টেকসই উন্নয়ন।
ঢাকাকে ঢেলে সাজানোর এমন সুযোগকে কাজে লাগাতে নয় বরং রাজধানী কেন্দ্রিক সুযোগ সুবিধা বিকেন্দ্রি করণে বেশি মনযোগ সরকারের।
পরিকল্পণামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মেট্রোরেলের আশে পাশে বড় বিল্ডিং করবে না । তাহলে খাবে কী, যাবে কোথায়, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা কোথায়? কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র মেট্রোরেল পাশে থাকবে না। ঢাকা, চট্টগ্রাম এই দুটি শহরকে আমরা আর জনগোষ্টি দিয়ে ভারাক্রান্ত করতে চাই না।
প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মেট্রোরেল প্রকল্পে প্রথম পর্বের কাজ আগামী বছরেই শেষ হলে মেট্রোরেলে চরার সুযোগ পাবেন নগরবাসী।
সূত্র: ডিবিসি টেলিভিশন