শিরোনাম
◈ জনবল সংকটেও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বিইআরসি ◈ ইসির ওয়েবসাইটে আওয়ামী লীগের তথ্য অপসারণ, নেই প্রতীক ও নিবন্ধনের তারিখ ◈ পুলিশের গাড়িতে হামলার পর গোপালগঞ্জে এবার ইউএনওর গাড়ি বহরে হামলা ◈ জয়া আহসানের অভিনয় নিয়ে ক্ষোভ, টালিউডে বাংলাদেশি শিল্পীদের উপস্থিতি ঘিরে বিতর্ক ◈ লাহোর থেকে করাচির বদলে জেদ্দায়! এয়ার সিয়ালের ভুলে যাত্রী আটক, ক্ষতিপূরণ দাবি ◈ গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন ◈ শেরপুরে কলেজ ছাত্রকে ক্ষুরাঘাতের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ১৮ ◈ চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার ◈ কুমিল্লায় উপজেলা প্রকৌশলীকে লাথি মেরে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ◈ এবার কক্সবাজারে চুরির পর পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৮, ০২:৫৭ রাত
আপডেট : ১২ মে, ২০১৮, ০২:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃত্রিম উপগ্রহের আবিষ্কার ও মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস

হ্যাপী আক্তার : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ সফলভাবে উৎক্ষেপণের সক্ষমতার মধ্য দিয়ে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহের যাত্রায় ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। তবে এই স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের আবিষ্কার ও মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয়। ষাটের দশকে প্রথমবারের মতো এ গৌরব অর্জন করে তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রও মহাকাশের উদ্দেশ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সক্ষম হয়। এরপর একে একে ফ্রান্স, জাপান, চীন ও ভারতসহ ৫৬টি দেশ মহাকাশ জয় করে।

১৯৫৭ সালের চৌঠা অক্টোবর। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে স্যাটেলাইট স্পুটনিক- ১। রাশিয়ার তৈরি এ কৃত্রিম উপগ্রহের মহাকাশ জয়ের মধ্যদিয়ে রচিত হয় আধুনিক বিজ্ঞানের নতুন এক অধ্যায়। একই বছরের দোসরা নভেম্বর স্পুটনিক-২ নামের আরো একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায় রাশিয়া।

পরের বছর এক্সপ্লোরার-১ নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মধ্যদিয়ে মহাকাশ জয়ের দ্বিতীয় দেশের গৌরব অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর ১৯৬৫ সালে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সক্ষম হয় ফ্রান্স। ১৯৭০ সালে একই গৌরব অর্জন করে জাপান।

ওই বছরেই ডং ফ্যাং হং-১ নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় চীন। পরের বছর ব্ল্যাক অ্যারো রকেটে প্রোসপেরো এক্স-৩ নামের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ব্রিটেন। এছাড়া, ১৯৮০ সালে রোহিনী নামের কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ যাত্রা শুরু করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বাংলাদেশের আগে সবশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয় কোস্টারিকার নাম।

উইকিপিডিয়ার হিসেবে বলছে, ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫০টিরো বেশি দেশ থেকে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তবে পৃথিবীর মাত্র ১০টি দেশ নিজস্ব প্রযুক্তি ও উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম।

এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, চীন, যুক্তরাজ্য, ভারত, ইসরাইল, ইউক্রেন এবং ইরান। বর্তমানে মহাকাশে সচল রয়েছে ১০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট। এর ৫০ ভাগই উৎক্ষেপণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে রাশিয়ার একটি স্যাটেলাইটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, তথ্যের আদান-প্রদান, সম্প্রচার, বিমান ও সমুদ্রগামী জাহাজের দিক নির্দেশনা এবং সামরিক কাজ তথা পরমাণু অস্ত্রের পর্যবেক্ষণ, রাডার নিয়ন্ত্রণ এবং শত্রুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইটের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

দক্ষিণ এশিয়ায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তালিকায় শীর্ষে ভারত। গেল বছর একদিনে ১০৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ইতিহাস গড়ে দেশটি। এর আগে ২০১৪ সালে রাশিয়া এক সঙ্গে ৩৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল। এছাড়া, গেল বছর ৫ মে ‘দক্ষিণ এশিয়া কৃত্রিম উপগ্রহ’ নামে একটি যৌথ প্রকল্পও শুরু করে ভারত।

যার অংশীদার, পাকিস্তান বাদে সার্কের বাকি সদস্য দেশগুলো। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকলেও এখনও অনেক পিছিয়ে নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং মিয়ানমার।

বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইটের মালিকানায় এখন বাংলাদেশ। সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়