খালেদার জিয়ার নামে ভিডিও ভাইরাল বিএনপির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
শিমুল মাহমুদ : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১৯ সেকেন্ডের যে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে তা আওয়ামী লীগের কাটিং এন্ড পেসটিং করা নোংরা অপপ্রচার বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, যারা কুরুচিসম্পন্ন এবং যারা অপরাজনীতি ও অসভ্যতার চর্চা করে তারাই কেবল অসত্য ও নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নেয়। আওয়ামী লীগ কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকারে ভোগে। তাদের ঐতিহ্যে সভ্যতা ও সুরুচির কখনোই কোন নিদর্শন ছিল না। সেজন্য তাদের কোন কথাই জনগণ বিশ্বাস করে না। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এটা স্পষ্ট যে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে তাদের কাজ ত কাটিং এন্ড পেসটিংই হবে এছাড়া তো তাদের কোন অবলম্বন নাই। আমরা আমাদের ছাত্র জীবন থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে ছিনি জানি। কখনো অমঙ্গল কথা বলেন না, কখনো বারতি কথা বলেন না, কখনো অনৈতিক কথা বলেন না। এগুলা শিক্ষাদিক্ষাহীন আওয়ামী রাজনীতির বখাটে সন্তানদের কাজ।
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এগুলো বানোয়াট। এগুলো সরকারি দলের অপপ্রচার। নির্বাচনের আগে তারা এসব ছড়াচ্ছে।
শনিবার ফেসবুকে খালেদা জিয়ার নামে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ায়। এটি শেয়ার দেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব। পরে তা ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজে দেয়া হয়। এরপর সেটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায় খালেদা জিয়া বলছেন, আপনারা যতই বলেন আন্দোলন। আন্দোলন ঢাকায় সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। এখানে আমাদের পরিবারের মধ্যে গ-গোল আছেন, তারেক রহমানকে তো আপনারা চেনেন। বউয়ের সাথে গ-গোল, বউ চায় ক্ষমতা, সেও (তারেক রহমান) চায় ক্ষমতা।
ভিডিওতে আর এতে বিএনপি নেত্রীর পাশ দিয়ে মুখ দেখা যায়। আর তার বক্তব্যটির মাঝে দুইবার অন্ধকার আছে। তবে এটি কবেকার সেটি উল্লেখ করা হয়নি ভিডিওতে। তবে তিনি যে শাড়ি পড়া ছিলেন, একই শাড়ি পড়ে ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে সফরকালে সে দেশের বিএনপির এক মতবিনিময়ে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানকেই দলের ভবিষ্যত নেতা হিসেবে ধরা হয়। দুই মামলায় দ-িত তারেককে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনও করা হয়েছে। আবার ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তার মৃত্যুদ- চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত কয়েক বছর ধরেই তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান দলের হাল ধরতে পারেন বলে প্রচার ছিল। তবে সম্প্রতি জানা গেছে, ২০০৪ সালের জুনে তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার সময় তার স্ত্রীর পাশাপাশি কন্যা জাইমা রহমানও এই আশ্রয় চেয়েছেন এবং তারা সবাই তাদের পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে জমা দিয়েছেন।