জান্নাতুল ফেরদৌসী: ধর্ষণ ও নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেক্ষেত্রে আইন সংশোধন করে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনকে যথেষ্ট শক্তিশালী মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হচ্ছে না। রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকলে ধর্ষণ কমবে না বলেও মত তাদের।
১২ বছরের কম বয়সের শিশু ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত শনিবার ভারতে আইন সংশোধন হয়েছে। এছাড়া ১৬ বছর পর্যন্ত নাবালিকা শিশুর ক্ষেত্রে অপরাধীর হবে কঠোর শাস্তি।
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ধর্ষণের ফলে নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। সম্প্রতি নারী ও শিশু ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় শাস্তি আরো কঠোর করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করে, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যদণ্ড দেয়া যেতে পারে।
মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী বলেন, শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যেতে পারে। যেভাবে বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নির্যাতন বেড়ে গেছে এটা প্রতিরোধ করতে এধরনের আইন আসা উচিত এবং প্রয়োগ করা উচিত।
ট্রাইবুনালে ধর্ষণের মামলার বিচার ১৮০ দিনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও নানা ফাঁকফোকরে অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর জোর দিচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
সালমা আলী আরো বলেন, কোন রাজনৈতিক লোক যদি হয় আর যদি যথেষ্ট অর্থ সম্পদ থাকে, আর তার জন্য যদি আইন অন্য রকম হয় তাহলে তো হবে না।
শফিক আহমেদ বলেন, মামলা চলছে হঠাৎ করেই পক্ষের কেউ দরখাস্ত দিলেই আসামি বের হয়ে যায়। এরকম সুযোগ না দেয়া এবং সেদিকে নজর রাখা উচিত।
ধর্ষণ ঠেকাতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর ওপরেও জোর দিচ্ছেন বিশিষ্ট জনেরা। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :