শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:৫১ সকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্ষণ ও নির্যাতনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া যেতে পারে: ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ

জান্নাতুল ফেরদৌসী: ধর্ষণ ও নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেক্ষেত্রে আইন সংশোধন করে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনকে যথেষ্ট শক্তিশালী মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ হচ্ছে না। রাজনৈতিক অঙ্গীকার না থাকলে ধর্ষণ কমবে না বলেও মত তাদের।

১২ বছরের কম বয়সের শিশু ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গত শনিবার ভারতে আইন সংশোধন হয়েছে। এছাড়া ১৬ বছর পর্যন্ত নাবালিকা শিশুর ক্ষেত্রে অপরাধীর হবে কঠোর শাস্তি।

বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। ধর্ষণের ফলে নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। সম্প্রতি নারী ও শিশু ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় শাস্তি আরো কঠোর করার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে। সেই ক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করে, ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যদণ্ড দেয়া যেতে পারে।

মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী বলেন, শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যেতে পারে। যেভাবে বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নির্যাতন বেড়ে গেছে এটা প্রতিরোধ করতে এধরনের আইন আসা উচিত এবং প্রয়োগ করা উচিত।

ট্রাইবুনালে ধর্ষণের মামলার বিচার ১৮০ দিনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও নানা ফাঁকফোকরে অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। মামলার বাদী ও সাক্ষীদের হয়রানির অভিযোগও রয়েছে। ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর জোর দিচ্ছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

সালমা আলী আরো বলেন, কোন রাজনৈতিক লোক যদি হয় আর যদি যথেষ্ট অর্থ সম্পদ থাকে, আর তার জন্য যদি আইন অন্য রকম হয় তাহলে তো হবে না।

শফিক আহমেদ বলেন, মামলা চলছে হঠাৎ করেই পক্ষের কেউ দরখাস্ত দিলেই আসামি বের হয়ে যায়। এরকম সুযোগ না দেয়া এবং সেদিকে নজর রাখা উচিত।

ধর্ষণ ঠেকাতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর ওপরেও জোর দিচ্ছেন বিশিষ্ট জনেরা। সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়